১৩৩
কন্যার পায়ের নূপুর বাজে রে বাজে
রে।
রুমুঝুমু রুমুঝুমু বাজে রে বাজে
রে।
যেন ভোমরারি ঝাঁক উড়ে গেল ফুল-বনের মাঝে রে॥
কালো জলে নামলো যেন বুনো হাঁসের
দল,
যেন পাহাড় বেয়ে' ছুটে এলো ঝর্না ছলছল
থির সায়রে টাপুর-টুপুর ঝরে মেঘের
জল
যেন বাদল সাঁঝে রে॥
যেন আচম্কা নিঝুম রাতে গাঙে জোয়ার এলো
ঝরা পাতায় চৈতী বাতাস বইলো
এলোমেলো।
সে সুর ওঠে রিম্ঝিমিয়ে
আমার বুকে চমক্ দিয়ে
মহুয়া-ডালে গানের পাখি নীরব হলো
লাজে রে॥
১.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
২. রেকর্ড সূত্র:
১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে এইচ.এম.ভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে প্রথম গানটির রেকর্ড প্রকাশিত হয়। শিল্পী ছিলেন মাধুরী দে। রেকর্ড নং- এন ১৭২৮৩।
৩. রচনাকাল:
গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায় না। ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল
মাসে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৪০ বৎসর।
৪. প্রাসঙ্গিক পাঠ:
রেকর্ড বুলেটিন থেকে পাওয়া সূত্র অনুসারে জানা যায়, ১৯৩৯ ষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে
এইচ.এম.ভি কোম্পানি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়।
৫. সুরকার:
নিতাই ঘটক [নজরুল সঙ্গীত নির্দেশিকা। ব্রহ্মমোহন ঠাকুর (নজরুল ইন্সটিটিউট, ২৫ মে, ২০০৯ খ্রীষ্টাব্দ)]।
কাজী নজরুল ইসলাম [নজরুল-স্বরলিপি, ৮ম খণ্ড (হরফ প্রকাশনী, জুলাই ১৯৯৩)]।
৬. স্বরলিপিকার:
মনোরঞ্জন সেন [নজরুল-স্বরলিপি, ৮ম খণ্ড, ৪১ সংখ্যক গান (হরফ প্রকাশনী, জুলাই ১৯৯৩)]।
৭. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
কোনো স্বরলিপির সাথে রাগের উল্লেখ নেই।
তাল: দ্রুত-দাদ্রা।
অঙ্গ: ঝুমুর।
পর্যায়:
গ্রহস্বর: ণা।