১৪০
                     তাল: দ্রুত-দাদ্‌রা
       চিকন কালো বেদের কুমার কোন্ পাহাড়ে যাও?
কোন্ বন-হরিণীর পরান নিতে বাঁশরি বাজাও?
       তুমি শিস্ দিয়ে গান গাও
       তুমি কুটিল চোখে চাও॥
       তীর-ধনুক নিয়ে সারাবেলা
       ও শিকারি, এ কি খেলা?
শাল গাছেরই ডাল ভাঙিয়া একটু বাতাস খাও॥
কাঁকর-ভরা কাঁটার পথে (আজ) নাই শিকারে গেলে,
অশথ্-তলে বাজাও বাঁশি (তোমার) হাতের ধনুক ফেলে'।
       তোমার কালো চোখের কাজল নিয়ে
       ঝিল উঠেছে ঝিল্‌মিলিয়ে, ঝিল্‌মিলিয়ে।
ঐ কমল ঝিলের শাপলা নিয়ে বাঁশিখানি দাও॥

ভাবসন্ধান:

১. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:

২. রেকর্ড সূত্র: ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে এইচ.এম.ভি. রেকর্ড কোম্পানি থেকে প্রথম গানটির রেকর্ড প্রকাশিত হয়। শিল্পী ছিলেন শ্রীমতি বীণা চৌধুরী। রেকর্ড  নং- এন ২৭২৬২। H.M.V.N 27262. সুত্র: রেকর্ড বুলেটিন।
                      
৩. রচনাকাল: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায় না। ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৪৩ বৎসর।

৪. প্রাসঙ্গিক পাঠ: 
  
 বি.দ্র.: ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের বিজন ঘোষ দস্তিদার গানটি এইচ.এম.ভি.-তে রেকর্ড করেছিলেন, কিন্তু রেকর্ডটি বাতিল হয়। [সুত্র: নজরুল সঙ্গীত নির্দেশিকা। ব্রহ্মমোহন ঠাকুর। ৯৯১ সংখ্যক গান (নজরুল ইন্সটিটিউট, জ্যৈষ্ঠ ১৪১৬। মে ২০০৯)।
পৃষ্ঠা: ২৬৯]।

৫. সুরকার: কাজী নজরুল ইসলাম।

৬. স্বরলিপিকার: 

  • নীলিমা দাশ। [নজরুল-সঙ্গীত স্বরলিপি, বত্রিশতম খণ্ড, ৬ সংখ্যক গান (নজরুল ইন্সটিটিউট, ফাল্গুন ১৪১৫। ফেব্রুয়ারি ২০০৯)। পৃষ্ঠা: ২০-২৪]।

  • কাজী অনিরুদ্ধ। [সুনির্বাচিত নজরুল গীতির স্বরলিপি, তৃতীয় খণ্ড, ৩২ সংখ্যক গান (সাহিত্যম্‌, বৈশাখ ১৩৮৫)। পৃষ্ঠা: ৭১-৭৩]।

  • সুধীন দাশ। [নজরুল সুরলিপি, প্রথম খণ্ড, ১২ সংখ্যক গান (নজরুল একাডেমী, জানুয়ারী ১৯৮২)। পৃষ্ঠা: ৩৫-৩৯]।

৭. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী: গানটিতে কোনো রাগের উল্লেখ নেই।
তাল
: দ্রুত-দাদ্‌রা
পর্যায়: লোকগীতি। [নজরুল-গীতি, অখণ্ড। ২০৩৫ সংখ্যক গান (হরফ প্রকাশনী, ২৩ জানুয়ারি ২০০৪) পৃষ্ঠা: ৫৩৮]।
গ্রহস্বর:
রা।