১৫৮৫.
রাগ : বসন্ত মুখারী, তাল : ত্রিতাল
বসন্ত মখর আজি।
দক্ষিণ সমীরণে মর্মর গুঞ্জনে
বনে বনে বিহবল বাণী ওঠে বাজি'॥
অকারণ ভাষা তার ঝরঝর ঝরে
মুহু মুহু কুহু কুহু পিয়া পিয়া স্বরে,
পলাশ বকুলে অশোক শিমুলে
─
সাজানো তাহার কল-কথার সাজি॥
দোয়েল মধুপ বন-কপোত কূজনে,
ঘুম ভেঙে দেয় ভোরে বাসর শয়নে।
মৌনী আকাশ সেই বাণী-বিলাসে
অস্ত চাঁদের মুখে মৃদু মৃদু হাসে,
বিরহ-শীর্ণা গিরি-ঝর্ণার তীরে ─
পাহাড়ি বেণু হাতে ফেরে সুর ভাঁজি'॥
ভাবসন্ধান:
১.
প্রকাশ ও
গ্রন্থভুক্তি:
- নজরুল-সঙ্গীত
সংগ্রহ,
(নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮। ফেব্রুয়ারি ২০১২) -এর ১৯০
সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৬০।
- নজরুল-সঙ্গীত,
আদি স্বরলিপি সংগ্রহ (নজরুল ইনস্টিটিউট,
আশ্বিন ১৪০৬।
অক্টোবর ১৯৯৯) -এর ১১
সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ২৭-২৯।
- একশো গানের নজরুল
স্বরলিপি, তৃতীয় খণ্ড, (হরফ প্রকাশনী, জুলাই ১৯৯৩) -এর
৭৩ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ১৯১-১৯২।
- সুনির্বাচিত নজরুল গীতির স্বরলিপি,
চতুর্থ খণ্ড, (সাহিত্যম্, আশ্বিন ১৩৮৫। সেপ্টেম্বর ১৯৭৮) -এর
৪৮ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ১০৫-১০৭।
- শ্রেষ্ঠ নজরুল স্বরলিপি, (হরফ
প্রকাশনী, Deluxe Edition : July 2011) -এর
৩য় গান।
পৃষ্ঠা: ৬-৮।
- নজরুল গীতি, অখণ্ড (আব্দুল আজীজ
আল-আমান, সম্পাদিত)। [হরফ প্রকাশনী, মাঘ ১৪১০। জানুয়ারি ২০০৪]।
রাগ-প্রধান গান। গান-৯১১। পৃষ্ঠা:
২২৯।
- বুলবুল - দ্বিতীয় খণ্ড (১১
জ্যৈষ্ঠ ১৩৫৯ বঙ্গাব্দ)। [নজরুল-রচনাবলী,
ষষ্ঠ খণ্ড (বাংলা একাডেমী, ১২ ভাদ্র, ১৪১৪।
২৭ আগস্ট, ২০০৭)] -এর ৪০
সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ২৭৩।
- পত্রিকা :
কবিতা, কার্তিক-পৌষ, ১৩৫১ বঙ্গাব্দ। বসন্ত মুখারী-তেতালা।
- বেতার : ১.
গীতি আলেখ্য-জীবনস্রোত। তারিখ-২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দ।
২.
অনুষ্ঠান-হারামণি। তারিখ-১৩ ডিসেম্বর, ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দ। শিল্পী-নজরুল।
অনুষ্ঠান-রম্যগীতি। ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসের প্রতি মঙ্গলবারে প্রচারিত
হয়েছিল।
- পত্রিকা :
বেতার জগৎ, ০১ মারচ, ১৯৫৯ সংখ্যা।
সুর-শৈলেশ দত্তগুপ্ত। (সুরকার হিসাবে শৈলেশ দত্তগুপ্তের নাম থাকলেও, তথ্যটি
ভুল। সুরকার নিঃসন্দেহে নজরুল)। বি.দ্র.: স্বরলিপিধৃত সুরটি সম্ভবতঃ শুদ্ধ।
২.
রেকর্ড সূত্র :
রেকর্ড পাওয়া যায় নি।
৩. রচনাকাল :
গানটির রচনাকাল
সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ই
ডিসেম্বর তারিখে বেতারের 'হারামণি' নামক অনুষ্ঠানে গানটি প্রথম
সম্প্রচারিত হয়েছিল। এই সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৪০ বৎসর।
৪.
প্রাসঙ্গিক পাঠ :
- ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ই ডিসেম্বর
সন্ধ্যা ৭-১৫ মিনিটে হারামণির তৃতীয় অনুষ্ঠান
প্রচারিত হয়। এই আসরে 'বসন্ত মুখারী' উপস্থাপিত হয়েছিল। বেতার জগতে (১৩-১২-৩৯)
এই গানটির প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছিল—
'সন্ধ্যা ৭-১৫ মিনিটে
হারামণি (৩) (লুপ্ত প্রায় রাগের বিশ্লেষণ) 'বসন্ত মুখারী'-কাজী নজরুল ইসলাম ও
সুরেশচন্দ্র চক্রবর্তী।'
এই রাগে কাজী নজরুল ইসলাম উক্ত গানটি রচনা করেছিলেন।
[সূত্র:
নজরুল
যখন বেতারে। আসাদুল হক (বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী,
চৈত্র ১৪০৫। মার্চ ১৯৯৯) হারামনি (৩) পৃষ্ঠা: ৮৬।]
- মার্চ মাসের প্রতি মঙ্গলবার রাত্রি
১০টায় আকাশবাণী কলিকাতা থেকে রম্যগীতি অনুষ্ঠানে এই গানটি শোনা যেত।
[নিঃসন্দেহে গানটির সুরকার নজরুল। ১৩ ডিসেম্বর ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে কলকাতা
বেতার কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত 'হারামণি'র গান হিসাবে প্রচারিত হয়েছিল 'বসন্ত মুখারী'
রাগের নিদর্শন হিসাবে। বর্তমানে স্বরলিপিটি 'বসন্ত মুখারী' রাগ অনুসারেই রয়েছে।
মূল সুরটি আজও অজানা। তবে কোন ভাবেই
শৈলেশ দত্তগুপ্ত সুরকার হতে পারেন না। সম্ভবতঃ নজরুলের সুরটি তিনি স্মৃতি হতে
উদ্ধার করেছিলেন। ০১ মার্চ ১৯৫৯ সংখ্যার বেতার জগতে প্রকাশিত হয় এই স্বরলিপি।
পরে কাজী অনিরুদ্ধ তাঁর
স্বরলিপি পুস্তকে এই স্বরলিপিটি অন্তর্ভুক্ত করেন। বোঝা যায় যে নজরুলের সুর,
তাঁরই সহচরগণ, নিজেদের নামে প্রচারে মাঝে মাঝে উৎসাহী হতেন──সম্পাদক-ব্রহ্মমোহন
ঠাকুর।]
[নজরুল-সঙ্গীত,
আদি স্বরলিপি সংগ্রহ (নজরুল ইনস্টিটিউট,
আশ্বিন ১৪০৬।
অক্টোবর ১৯৯৯) -এর ১১
সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ২৭-২৯।]
৫.
সুরকার: শৈলেশ
দত্তগুপ্ত। (সুরকার হিসাবে শৈলেশ দত্তগুপ্তের নাম থাকলেও, তথ্যটি ভুল। সুরকার
নিঃসন্দেহে নজরুল)।
[সূত্র :নজরুল
সঙ্গীত নির্দেশিকা। ব্রহ্মমোহন ঠাকুর
(নজরুল ইন্সটিটিউট, জ্যৈষ্ঠ ১৪১৬। মে ২০০৯)
-এর ১৮১৯ সংখ্যক গান।
পৃষ্ঠা: ৫০৭।]
৬.
স্বরলিপিকার :
- ব্রহ্মমোহন ঠাকুর। [নজরুল-সঙ্গীত,
আদি স্বরলিপি সংগ্রহ (নজরুল ইনস্টিটিউট,
আশ্বিন ১৪০৬।
অক্টোবর ১৯৯৯) -এর ১১
সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ২৭-২৯।]
হারামণি : আকাশবাণী ১৩ ডিসেম্বর, ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দ। রম্যগীতি : স্বরলিপি।
- কাজী অনিরুদ্ধ। [সুনির্বাচিত নজরুল
গীতির স্বরলিপি, চতুর্থ খণ্ড, (সাহিত্যম্, আশ্বিন ১৩৮৫। সেপ্টেম্বর ১৯৭৮)
-এর ৪৮ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা:
১০৫-১০৭।]
- নিতাই ঘতক। [শ্রেষ্ঠ নজরুল স্বরলিপি,
(হরফ প্রকাশনী, Deluxe Edition : July 2011) -এর
৩য় গান।
পৃষ্ঠা: ৬-৮।]
৭.
সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী :
রাগ:
বসন্ত মুখারী।
তাল: ত্রিতাল।
পর্যায়:
রাগ-প্রধান গান।
সুরের অঙ্গ:
গ্রহস্বর:
সা।