১৬৭২.
রাগ : সৌরাষ্ট্র ভৈরব, তাল : ত্রিতাল
মদালস ময়ূর-বীণা কার বাজে।
অরুণ-বিভাসিত অম্বর মাঝে॥
কোন্ মহামৌনীর ধ্যান হ'ল ভঙ্গ?
নেচে' ফেরে অশান্ত মায়া-কুরঙ্গ,
তপোবনে রঙ্গে অনঙ্গ বিরাজে॥
নিদ্রিত রুদ্রের ললাট-বহ্নি,
পাশে তা'র নেচে ফেরে বনমালা তন্বী।
বিজড়িত জটাজুটে খেলে শিশু শশী
দেয় মালা-চন্দন ভীরু উর্বশী,
শঙ্কর সাজিল রে নটরাজ-সাজে॥
ভাবসন্ধান:
১.
প্রকাশ ও
গ্রন্থভুক্তি:
- নজরুল-সঙ্গীত
সংগ্রহ,
(নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮। ফেব্রুয়ারি ২০১২) -এর
১৬৭২
সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৪৯৯।
- একশো গানের নজরুল স্বরলিপি, দশম
খণ্ড, (হরফ প্রকাশনী, পৌষ ১৪০৬। জানুয়ারি ২০০০) -এর
৩৭ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৯৬-৯৭।
- নজরুল গীতি, অখণ্ড (আব্দুল আজীজ
আল-আমান, সম্পাদিত)। [হরফ প্রকাশনী, মাঘ ১৪১০। জানুয়ারি ২০০৪]।
রাগ-প্রধান গান। গান-৯২৭। পৃষ্ঠা: ২৩২।
- শেষ সওগাত (গ্রন্থ)।
- বেতার : ১. অনুষ্ঠান-ষট ভৈরব। তারিখ-১৩
জুলাই, ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দ। শিল্পী-শৈল দেবী।
২.
অনুষ্ঠান-হারামণি। তারিখ-৮ জানুয়ারি, ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দ। শিল্পী-নজরুল।
২.
রেকর্ড সূত্র :
পাওয়া যায় নি।
৩. রচনাকাল :
গানটির রচনাকাল
সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ৮ই
জানুয়ারি তারিখে বেতারের 'হারামণি' নামক অনুষ্ঠানে গানটি প্রথম
সম্প্রচারিত হয়েছিল। এই সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৪১ বৎসর।
৪.
প্রাসঙ্গিক পাঠ :
- ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ৮ই জানুয়ারি রাত্রি
৮-২০ মিনিটে 'হারামণি'র চতুর্থ অধিবেশনে পরিবেশিত হয়েছিল রাগ 'সৌরাষ্ট্র ভৈরব'।
এই অনুষ্ঠানে কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর রচিত এই গানটি পরিবেশেন করেছিলেন। এই রাগের
রূপ বর্ণনায় কাজী নজরুল ইসলাম রাগটির নাম লিখেছিলেন সৌরাষ্ট্র বা সুরষ্টি।
[সূত্র:
নজরুল যখন বেতারে।
আসাদুল হক (বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী, চৈত্র ১৪০৫। মার্চ ১৯৯৯) হারামণি (৪)
পৃষ্ঠা: ১১৫।]
৫.
সুরকার:
৬.
স্বরলিপিকার :
- ড. ব্রহ্মমোহন
ঠাকুর। [একশো গানের নজরুল স্বরলিপি, দশম খণ্ড, (হরফ প্রকাশনী,
পৌষ ১৪০৬। জানুয়ারি ২০০০) -এর ৩৭
সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৯৬-৯৭।]
৭.
সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী :
রাগ:
সৌরাষ্ট্র ভৈরব।
তাল: ত্রিতাল।
পর্যায়:
রাগ-প্রধান গান।
সুরের অঙ্গ:
গ্রহস্বর:
সা।