১৮২৬.
তাল : লোফা
আমরা শক্তি আমরা বল, আমরা
ছাত্রদল।
মোদের পায়ের তলায় মূর্ছে তুফান
ঊর্ধ্বে বিমান
ঝড় বাদল!
আমরা ছাত্রদল॥
মোদের আঁধার রাতে বাধার পথে যাত্রা নাঙ্গা পায়,
আমরা শক্ত মাটি রক্তে রাঙাই বিষম চলার ঘায়!
যুগে যুগে
রক্তে মোদের সিক্ত হল পৃথ্বীতল।
আমরা ছাত্রদল॥
মোদের কক্ষচ্যুত ধূমকেতু-প্রায় লক্ষ্যহারা প্রাণ,
আমরা ভাগ্যদেবীর যজ্ঞবেদীর নিত্য বলিদান।
যখন লক্ষ্মীদেবী স্বর্গে উঠেন আমরা পশি নীল অতল।
আমরা ছাত্রদল॥
আমরা ধরি
মৃত্যু রাজার যজ্ঞ-ঘোড়ার রাশ,
মোদের মৃত্যু
লেখে মোদের জীবন-ইতিহাস।
হাসির দেশে
আমরা আনি সর্বনাশী চোখের জল।
আমরা ছাত্রদল॥
সবাই যখন
বুদ্ধি যোগায়, আমরা করি ভুল।
সাবধানীরা
বাঁধ বাঁধে সব, আমরা ভাঙি কূল।
দারুণ রাতে
আমরা তরুণ রক্তে করি পথ পিছিল।
আমরা ছাত্রদল॥
মোদের চক্ষে জ্বলে জ্ঞানের মশাল বক্ষে ভরা বাক্,
কণ্ঠে মোদের
কুণ্ঠা-বিহীন নিত্য-কালের ডাক।
আমরা তাজা খুনে লাল করেছি সরস্বতীর শ্বেত-কমল।
আমরা ছাত্রদল॥
ঐ দারুণ উপপ্লবের দিনে আমরা দানি শির,
মোদের মাঝে মুক্তি
কাঁদে বিংশ-শতাব্দীর!
মোরা গৌরবেরি কান্না দিয়ে ভরেছি মা'র শ্যাম আঁচল।
আমরা ছাত্রদল॥
আমরা রচি ভালোবাসার
আশার ভবিষ্যৎ,
মোদের স্বর্গ-পথের আভাস দেখায় আকাশ-ছায়াপথ!
মোদের চোখে
বিশ্ববাসীর স্বপ্ন দেখা হোক সফল।
আমরা ছাত্রদল॥
ভাবসন্ধান:
১. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
২. রেকর্ড সূত্র : ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে কলম্বিয়া. রেকর্ড কোম্পানি গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশ করে। রেকর্ড নং- জে.ই ৭৮৩৪। শিল্পী ছিলেন গৌরীকেদার ভট্টাচার্য ও পার্টি।
৩. রচনাকাল ও স্থান : ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ। কৃষ্ণনগর।
৪. প্রাসঙ্গিক পাঠ :
৫. সুরকার: কাজী নজরুল ইসলাম।
৬. স্বরলিপিকার :
৭.
সঙ্গীত বিষয়ক
তথ্যাবলী :
রাগ:
তাল:
লোফা।
পর্যায়:
সুরের অঙ্গ: কীর্তন (বাউল)।
গ্রহস্বর:
সা।