১৮২৮.
রাগ : ভৈরবী, তাল : কাহারবা
আসিলে কে গো অতিথি উড়ায়ে নিশান সোনালী !
ও চরণ ছুঁই কেমনে দুই হাতে মোর মাখা যে কালি॥
দখিনের হালকা হাওয়ায় আসলে ভেসে সুদূর বরাতী !
শবে'রাত আজ উজালা গো আঙিনায় জ্বলল দীপালি॥
তালি-বন ঝুমকি বাজায় গায় 'মোবারক-বাদ' কোয়েলা।
উলসি' উপচে প'ল পলাশ-অশোক-ডালের ঐ ডালি॥
প্রাচীন ঐ বটের ঝুরির দোলনাতে হায় দুলিছে শিশু।
ভাঙা ঐ দেউল-চূড়ে উঠ্ল বুজি নৌ-চাঁদের ফালি॥
এলো কি অলখ্-আকাশ বেয়ে তরুণ হারুণ-আল্-রশীদ।
এলো কি আল্-বেরুণী, হাফিজ, খৈয়াম, কায়েস, গাজ্জালী॥
সানাইয়াঁ ভয়্রোঁ বাজায়, নিদমহলায় জাগ্ল শাহজাদী।
কারুনের রূপার পুরে নূপুর-পায়ে আস্ল রূপ-ওয়ালী॥
খুশির এ বুলবুলিস্তানে মিলেছে ফরহাদ ও শিঁরি।
লাল এ লায়লি-লোকে মজনুঁ হর্দম চালায় পায়ালী॥
বাসিফুল কুড়িয়ে মালা না-ই গাঁথিলি রে ফুল-মালি।
নবীনের আসার পথে উজাড় করে দে ফুল-ডালি॥
ভাবসন্ধান:
১. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
২. রেকর্ড সূত্র : ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে কলম্বিয়া. রেকর্ড কোম্পানি গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশ করে। রেকর্ড নং- জে.ই ৭৮৩৪। শিল্পী ছিলেন গৌরীকেদার ভট্টাচার্য ও পার্টি।
৩.
রচনাকাল ও স্থান : পদ্মা, ২৭.২.'২৭
[জিঞ্জীর,"খোশ্ আ'ম্দেদ'। পৃষ্ঠা: ১৩১।]
১৯২৭
খ্রিষ্টাব্দের
২৭ ফেব্রুয়ারি। ঢাকায় যাওয়ার পথে
'পদ্মার বুকে' স্টীমারে বসেই কবি এই গানটি রচনা করেছিলেন।
উপলক্ষ্য : ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত মুসলিম সাহিত্য
সমাজের প্রথম বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন গীতি হিসাবে এই গানটি কবি কর্তৃক রচিত ও
গীত হয়।
৪. প্রাসঙ্গিক পাঠ :
৫.
সুরকার: কাজী নজরুল ইসলাম।
[যেহেতু, কবি কর্তৃক রচিত ও গীত। তাই, ধারণা করা যায় যে, গানটিতে তিনিই সুরারোপ
করেছিলেন।]
৬. স্বরলিপিকার :
৭.
সঙ্গীত বিষয়ক
তথ্যাবলী :
রাগ:
ভৈরবী।
তাল: কাহারবা।
পর্যায়:
সুরের অঙ্গ:
গ্রহস্বর: