১৮২৯ তাল: মার্চের সুর অগ্রপথিক হে সেনাদল, জোর্ কদম্ চল্ রে চল্। রৌদ্রদগ্ধ মাটিমাখা শোন ভাইরা মোর, বাসি বসুধায় নব অভিযান আজিকে তোর! রাখ তৈয়ার হাথেলিতে হাতিয়ার জোয়ান, হান্রে নিশিত পাশুপতাস্ত্র অগ্নিবাণ। কোথায় হাতুড়ি কোথা শাবল? অগ্র-পথিক রে সেনাদল, জোর্ কদম্ চল রে চল্॥ কোথায় মানিক ভাইরা আমার সাজরে সাজ! আজ বিলম্ব সাজে না চালাও কুচকাওয়াজ! আমরা নবীন তেজ-প্রদীপ্ত বীর তরুণ বিপদ-বাধার কণ্ঠ ছিঁড়িয়া শুষিব খুন! আমরা ফলাব ফুল-ফসল। অগ্র-পথিক রে যুবাদল, জোর্ কদম্ চল রে চল্॥ প্রাণ-চঞ্চল প্রাচী-র তরুণ, কর্মবীর, হে মানবতার প্রতীক গর্ব-উচ্চশীর! দিব্যচক্ষে দেখিতেছি, তোরা দৃপ্তপদ সকলের আগে চলিবি পারায়ে গিরি ও নদ, মরু- সঞ্চর গতি-চপল। অগ্র-পথিক রে পাঁওদল, জোর্ কদম্ চল রে চল্॥ স্থবির শ্রান্ত প্রাচী-র প্রাচিন জাতিরা সব হারায়েছে আজ দীক্ষা দানের সে গৌরব! অবনত-শির গতিহীন তা'রা, মোরা তরুণ বহিব সে ভার, লব শাশ্বত ব্রত দারুণ, শিখাব নতুন মন্ত্রবল। রে নব পথিক যাত্রীদল, জোর্ কদম্ চল রে চল্॥ আমরা চলিব পশ্চাতে ফেলি পচা অতীত, গিরি-গুহা ছাড়ি খোলা প্রান্তরে গাহিব গীত। সৃজীব জগৎ বিচিত্রতর, বীর্যবান, তাজা জীবন্ত সে নব সৃষ্টি শ্রম-মহান্ চলমান বেগে প্রাণ-উছল।। রে নবযুগের স্রষ্টাদল, জোর্ কদম্ চল রে চল্॥ অভিযান-সেনা আমরা ছুটিব দলে দলে বনে নদীতটে গিরি-সঙ্কটে জলে-থলে। লঙ্ঘিব খাড়া পর্বত-চূড়া অনিমেষে, জয় করি' সব তস্নস্ করি পায়ে পিষে− অসীম সাহসে ভাঙি' আগল! না-জানা পথের নকীব দল, জোর্ কদম্ চল রে চল্॥ পাতিত করিয়া শুষ্ক বৃদ্ধ অটবীরে বাঁধ বাঁধি চলি দুস্তর খর স্রোত-নীরে। রসাতল চিরি' হীরকের খনি করি' খনন, কুমারী ধরার গর্ভে করি গো ফুল সৃজন, পায়ে হেঁটে মাপি ধরণীতল! অগ্র-পথিক রে চঞ্চল, জোর্ কদম্ চল রে চল্॥ আমরা এসেছি নবীন প্রাচী-র নব-স্রোতে ভীম পর্বত ক্রোকচ-গিরির চূড়া হতে উচ্চ অধিত্যকা প্রণালিকা হইয়া পার আহত বাঘের পদ-চিন ধরি' হ'য়েছি বা'র; পাতাল ফুঁড়িয়া, পথ-পাগল! অগ্রবাহিনী পথিক-দল, জোর্ কদম্ চল রে চল্॥
অভয়-চিত্ত ভাবনা-মুক্ত যুবারা শুন! ওগো ও প্রাচীর দুলালী দুহিতা তরুণীরা, নেমেছে কি রাতি? ফুরায় না পথ সুদুর্গম? |
১. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইন্সটিটিউট, ফেব্রুয়ারি ২০১১] নামক গ্রন্থের ১৮২৯ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৫৪৪।
২.
রেকর্ড সূত্র:
৩. রচনাকাল:
৪. প্রাসঙ্গিক পাঠ:
৫. সুরকার:
৬. স্বরলিপিকার:
৭.
সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী: