১৮৩১.
রাগ:
বেহাগ-খাম্বাজ, তাল: কাওয়ালি
অমর কানন
মোদের অমর-কানন।
বন কে বলে রে ভাই, আমাদের
তপোবন
আমাদের তপোবন॥
এর দক্ষিণে 'শালী' নদী কুলুকুলু বয়,
তার কূলে কূলে শাল-বীথি ফুলে ফুল-ময়,
হেথা ভেসে আসে জলে-ভেজা দখিনা মলয়,
হেথা মহুয়ার মউ খেয়ে মন উচাটন॥
দূর প্রান্তর-ঘেরা
আমাদের বাস,
দুধ-হাসি হাসে হেথা
কচি দুব-ঘাস,
উপরে মায়ের মতো
চাহিয়া আকাশ,
বেণু-বাজা মাঠে হেথা
চরে ধেনুগণ॥
মোরা নিজ হাতে মাটি কাটি নিজে ধরি হাল,
সদা খুশি-ভরা বুক হেথা হাসি-ভরা গাল,
মোরা বাতাস করি ভেঙে হরিতকী-ডাল,
হেথা শাখায় শাখায় পাখি, গানের মাতন॥
প্রহরী মোদের
ভাই 'পূরবী' পাহাড়,
'শুশুনিয়া'
আগুলিয়া পশ্চিম দ্বার,
ওরে উত্তরে উত্তরী কানন বিথার
দূরে ক্ষণে ক্ষণে হাতছানি দেয় তালি-বন॥
হেথা ক্ষেত-ভরা ধান নিয়ে আসে অঘ্রাণ,
হেথা প্রাণে ফোটে ফুল, হেথা ফুলে ফোটে প্রাণ,
ওরে রাখাল সাজিয়া হেথা আসে ভগবান,
মোরা নারায়ণ-সাথে খেলা খেলি অনুখন॥
মোরা বটের ছায়ায় বসি করি গীতা পাঠ,
আমাদের
পাঠশালা চাষি-ভরা মাঠ,
গাঁয়ে গাঁয়ে
আমাদেত মায়েদের হাট,
ঘরে ঘরে ভাই
বোন বন্ধু স্বজন॥
ভাবসন্ধান:
১. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
২. রেকর্ড সূত্র : পাওয়া যায় নি।
৩.
রচনাকাল ও স্থান : ২৫
শে জুলাই, ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দ (আষাঢ়, ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)। গঙ্গাজলঘাটী। বাঁকুড়া।
উপলক্ষ : বাঁকুড়ায় অমর কানন নামে বিদ্যালয়ের উদ্বোধন।
৪. প্রাসঙ্গিক পাঠ :
৫. সুরকার:
৬. স্বরলিপিকার :
৭.
সঙ্গীত বিষয়ক
তথ্যাবলী :
রাগ:
বেহাগ-খাম্বাজ।
তাল: কাওয়ালি।
পর্যায়:
সুরের অঙ্গ:
গ্রহস্বর: