২১৯.
তাল: ফের্তা (দাদ্রা ও কাহার্বা)
কেঁদো
না কেঁদো না মাগো কে বলেছে কালো?
ইষৎ
হাসিতে তোর ত্রিভুবন আলো,
কে বলেছে কালো॥
কে দিয়েছে গালি তোরে,
মন্দ
সে মন্দ!
যে
বলেছে কালি তোরে,
অন্ধ সে অন্ধ!
মোর
তারায়
সে দেখে নাই তার নয়ন-তারায় নাই আলো।
তাই তারায় সে দেখে নাই॥
রাখে
লুকিয়ে
মা তোর নয়ন-কমল (মাগো)
কোটি আলোর সহস্র দল
তোর
রূপ
দেখে মা লজ্জায় শিব অঙ্গে ছাই মাখালো॥
তোর
নীল-কপোলে কোটি তারা,
চন্দনেরি ফোটার পারা
ঝিকিমিকি করে গো
─
মা
তোর
দেহলতায় অতুল কোটি রবি-শশীর মুকুল
ফোটে আবার ঝরে গো
─
তুমি
হোমের-শিখা বহ্নি-জ্যোতি,
তুমি
স্বাহা দীপ্তিমতী
আঁধার
ভুবন ভবনে মা কল্যাণ-দীপ জ্বালো
তুমি কল্যাণ-দীপ জ্বালো॥
ভাবসন্ধান:
১. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
২. রেকর্ড সূত্র : ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে, এইচ.এম.ভি. রেকর্ড কোম্পানী প্রথম গানটি রেকর্ড করে। রেকর্ড নম্বর N- 9947। গানটি কুমারী যূথিকা রায় গেয়েছিলেন। সুর করেছিলেন কমল দাশগুপ্ত। কীর্তনাঙ্গ-তাল ফেরতা।
৩. রচনাকাল : গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে, এইচ.এম.ভি. রেকর্ড কোম্পানী থেকে গানটি প্রথম রেকর্ডে প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৩৮ বৎসর।
৪. প্রাসঙ্গিক পাঠ :
৫. সুরকার : কমল দাশগুপ্ত।
৬.
স্বরলিপিকার :
৭.
সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী :
রাগ:
গানটিতে রাগের কোন উল্লেখ নেই।
তাল:
ফের্তা (দাদ্রা ও কাহার্বা)।
পর্যায়: ভক্তিমূলক গান। শ্যামাসঙ্গীত।
সুরের অঙ্গ: কীর্ত্তনাঙ্গ।
গ্রহস্বর: গা।