২৩২৯
তাল: কাহার্বা
নবীন আশা জাগ্ল যে রে আজ!
নূতন রঙে রাঙা তোদের সাজ॥
কোন সে বাণী বাজ্ল প্রাণের মাঝ্,
বাজরে বীনা বাজ্, দীপক-তানে বাজ
আপন কাজে পাস্ রে কেন লাজ?
এগিয়ে গিয়ে ধর্ রে নিজের কাজ।
শির উচিয়ে দাঁড়া জগৎ-মাঝ!
তোদের কণ্ঠে হানে যেন প্রবল বাজ॥
ফেলে দে রে যা কিছু সব জীর্ণ
রিক্ত যা, হবে তা দীর্ণ।
থাকিস্ নে ব'সে কেউ শীর্ণ
দুন্দুভি-ঢাক বাজুক না রে আজ॥
ভাবসন্ধান: এটি একটি উদ্দীপক গান।
কবি হতাশার দশা থেকে বেরিয়ে এসে, উদ্দীপনার বাণী ছড়িয়ে
দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এই গানের মধ্য দিয়ে। সকল দ্বিধা দ্বন্দ্ব ত্যাগ করে ভবিষ্যতের
কল্যাণের জন্য নতুন আশায় সবাইকে জেগে উঠার আহ্বান করছেন। অপরের সাহায্য ছাড়া
নিজের কাজ নিজে করার মধ্যে কোনো লজ্জা নেই। বরং পরম অহংকারে মাথা তুলে নিজের
কৃতকর্মের জয়কীর্তি ঘোষণা করার দৃঢ়তা দেখানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন এই গানে।
কবি চান সকল জরাজীর্ণতা বিসর্জন ঘটুক
এবং সবাই আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে উঠুক। ভবিষ্যতের চলার
পথ আপন বিজয়গৌরবের আনন্দসঙ্গীতে মুখরিত হোক কবির
এই কামনা করেন। দীপ্তিময় দীপক রাগের সাথে দুন্দুভি-ঢাকের জলদগম্ভীর নিনাদে
ধ্বনি হোক দৃঢ় প্রত্যয়। আর এর ভিতর দিয়ে আগামীদিনের কল্যাণময় উজ্জ্বল
ভবিষ্যতের সম্ভাবনা জেগে উঠুক।
১. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
কাজী অনিরুদ্ধ। [সুনির্বাচিত নজরুল গীতির স্বরলিপি, চতুর্থ খণ্ড, ১৮ সংখ্যক গান (সাহিত্যম্, আশ্বিন ১৩৮৫। সেপ্টেম্বর ১৯৭৮)]।
মনোরঞ্জন সেন। [একশো গানের নজরুল স্বরলিপি, পঞ্চম খণ্ড, ৯৫ সংখ্যক গান (হরফ প্রকাশনী, জানুয়ারি ২০০০)]।
২. রেকর্ড সূত্র:
রেকর্ড নাই।
৩. রচনাকাল: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
৪. প্রাসঙ্গিক পাঠ: সুনির্বাচিত নজরুল গীতির স্বরলিপি, চতুর্থ খণ্ড, ১৮ সংখ্যক
গান (সাহিত্যম্, আশ্বিন ১৩৮৫। সেপ্টেম্বর ১৯৭৮) -গ্রন্থটিতে গানটির স্বরলিপির
শেষাংশে উল্লেখ আছে যে,
'বাজ্রে বীণা বাজ্, দীপক তানে বাজ্', -অংশটি পুনরাবৃত্তি ক'রে স্থায়ীতে
ফিরতে হবে।
৫. সুরকার:
৬. স্বরলিপিকার:
কাজী অনিরুদ্ধ। [সুনির্বাচিত নজরুল গীতির স্বরলিপি, চতুর্থ খণ্ড, ১৮ সংখ্যক গান (সাহিত্যম্, আশ্বিন ১৩৮৫। সেপ্টেম্বর ১৯৭৮)]।
মনোরঞ্জন সেন। [একশো গানের নজরুল স্বরলিপি, পঞ্চম খণ্ড, ৯৫ সংখ্যক গান (হরফ প্রকাশনী, জানুয়ারি ২০০০)]।
৭. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
রাগ ও তাল:
মিশ্রসুর। কাহার্বা (২।২ ছন্দ, চতুর্মাত্রিক)।
গ্রহস্বর: র্সা।