শ্রবণ নমুনা

                     ২৬১
            তাল: দাদ্‌রা

বঁধু,  তোমার আমার এই যে বিরহ এক জনমের নহে।
তাই  যত কাছে পাই তত এ হিয়ায় কি যেন অভাব রহে
॥ 
         বারে বারে মোরা কত সে ভুবনে আসি
         দেখিয়া নিমেষে দুইজনে ভালোবাসি,
দলিয়া সহসা মিলনের সেই মালা (কেন) চলিয়া গিয়াছি দোঁহে
॥ 
আমরা বুঝি গো বাঁধিব না ঘর, অভিশাপ বিধাতার।
শুধু চেয়ে থাকি, কেঁদে কেঁদে ডাকি, চাঁদ আর পারাবার
                                    যেন চাঁদ আর পারাবার।
          মোদের জীবন-মঞ্জরি দুটি হায়!
          শতবার ফোটে' শতবার ঝ'রে যায়;
আমি কাদি ব্রজে (বঁধু), তুমি কাঁদ মথুরায়, মাঝে অপার যমুনা বহে
॥ 

ভাবসন্ধান:

১. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:

২. রেকর্ড সূত্র: ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে কলম্বিয়া  রেকর্ড কোম্পানি থেকে এই গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়। রেকর্ড নম্বর  GE-2555। শিল্পী: শ্রীমতি রাধারাণী। [শ্রবণ নমুনা] ।

৩. রচনাকাল: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে কলম্বিয়া রেকর্ড কোম্পানি থেকে এই গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশের সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৪১ বৎসর।

৪. প্রাসঙ্গিক পাঠ: পাঠভেদ আছে।
           ১. চাঁদ আর পারাবার
             
          
    যেন চাঁদ আর পারাবার         : রেকর্ড নং
N-2555

           ১. চাঁদ আর পারাবার                : নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ (নজরুল ইন্সটিটিউট, মাঘ ১৪১৭, ফেব্রুয়ারি ২০১১)

          ২. মোদের মিলন-মঞ্জরি দুটি হায়!
              কতবার ফোটে কতবার ঝ'রে যায়;  
 : রেকর্ড নং N-2555

          ২. মোদের জীবন-মঞ্জরি দুটি হায়!
             শতবার ফোটে শতবার ঝ'রে যায়
  : নজরুল-গীতি অখণ্ড, আব্দুল আজীজ আল-আমান সম্পাদিত
                                                         শ্রেষ্ঠ নজরুল স্বরলিপি অখণ্ড
                                                         গীতি সংকলন। প্রথম খণ্ড। রফিকুল ইসলাম সম্পাদিত

৫. সুরকার: কাজী নজরুল ইসলাম।

. স্বরলিপিকার:

. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
নজরুল-সঙ্গীত স্বরলিপি, সপ্তম খণ্ড [নজরুল ইন্সটিটিউট]-এ গৃহীত স্বরলিপিটিতে রাগের কোনো উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩ মাত্রা ছন্দে দাদরা তালে নিবদ্ধ।
মিশ্র/দাদরা [একশ গানের নজরুল স্বরলিপি, তৃতীয় খণ্ড, (হরফ প্রকাশনী, জুলাই ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দ) -এর ৭৯ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ২০৯-২১১]।

সুরের অঙ্গ:
ঠুংরী।
গ্রহস্বর: