৬০৮
রাগ:
পিলু-খাম্বাজ, তাল: কাহার্বা
আজ নিশীথে অভিসার তোমারি
পথে প্রিয়তম।
বনের পারে নিরালায় দিও হে
দেখা নিরুপম॥
সুদূর নদীর ধারে নিরালাতে
বালুচরে
চখার তরে যথা একা চখি
কেঁদে মরে
সেথা সহসা আসিও গোপন প্রিয়
স্বপন সম॥
তোমারি আশায় ঘুরি শত গ্রহে
শত লোকে,
(ওগো) আমারি বিরহ জাগে বিরহী চাঁদের চোখে,
আকুল পাথার নিরাশার পারায়ে
এসো প্রাণে মম॥
ভাবসন্ধান:
নারী হৃদয়ে প্রিয়তমের জন্য চিরন্তন আকাঙ্ক্ষা এই গানে ফুটে উঠেছে।
কল্পলোকের সেই নায়কের সাথে মিলিত হওয়ার কামনায় মনোজগতে অভিসার চলে দিবারাত্রি।
নায়িকা তাকে পেতে চায়, কোনো নির্জন বনের ধারে। পেতে চায়, সুদূর কোনো নির্জন নদীতীরে
আকস্মিক স্বপনে দেখার মতো। যেখানে তারই মতো বিরহিণী চখি গুমরে মরে চখার জন্য।
স্বপ্নের এই চিরন্তন নায়ককে পাওয়ার জন্য নায়িকার এই আকাঙ্ক্ষা জন্ম জন্মান্তরের। লোক থেকে লোকান্তরে সে আশা ঘুরে মরে। সে আকাঙ্ক্ষা ফুটে উঠে গভীর রাতের বিরহী চাঁদের স্বপ্নীল আকাশে। তবু নায়িকা গভীর প্রতীক্ষায় থাকে, যেন গভীর নৈরাশ্যের সাগর পেরিয়ে, তার স্বপ্নের নায়ক হৃদয়ের গভীরে পৌঁছায় মনোলোকে।
১. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
২. রেকর্ড সূত্র : ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর মাসে এইচ.এম.ভি. রেকর্ড কোম্পানি গানটি প্রথম রেকর্ড প্রকাশ করে। গানটির শিল্পী ছিলেন শ্রীমতি হরিমতী। রেকর্ড নং HMV N0. N 7293। শ্রেণী-গজল।
৩.
রচনাকাল: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
এইচ.এম.ভি. রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটি প্রকাশের সময়, কাজী নজরুল
ইসলামের বয়স ছিল ৩৫ বৎসর।
৪. প্রাসঙ্গিক পাঠ:
৫. সুরকার: কমল দাশগুপ্ত।
৬. স্বরলিপিকার:
৭.
সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
রাগ: পিলু-খাম্বাজ।
তাল:
কাহারবা (কার্ফা)।
সুরের অঙ্গ: গজল-কাওয়ালি। [নজরুল-সংগীত
স্বরলিপি, সাতাশতম খণ্ড, ১ম গান
(নজরুল
ইনস্টিটিউট, কার্তিক ১৪১২। অক্টোবর
২০০৫)। পৃষ্ঠা: ১-৩]।
পর্যায়: প্রেম।
গ্রহস্বর:
ধ্সা। [নজরুল-সংগীত স্বরলিপি, সাতাশতম খণ্ড, ১ম গান (নজরুল ইনস্টিটিউট, কার্তিক ১৪১২। অক্টোবর ২০০৫)। পৃষ্ঠা: ১-৩]।
ধ্সা। [নজরুল সুরলিপি, পঞ্চম খণ্ড, ১০ সংখ্যক গান (নজরুল একাডেমী, মে ১৯৮৩)। পৃষ্ঠা:২৭-২৯]।
রমা [নজরুল স্বরলিপি, ত্রয়োদশ খণ্ড, ৩১ সংখ্যক গান (হরফ প্রকাশনী, মাঘ ১৪১১। জানুয়ারি ২০০৫)। পৃষ্ঠা: ৫৭-৫৯]।