বিষয় :
নজরুল
সঙ্গীত।
গান সংখ্যা : ৬৯.
শিরোনাম
:
সাপুড়িয়া রে
─
বাজাও বাজাও সাপ-খেলানোর বাঁশি।
পাঠ ও পাঠভেদ:
৬৯.
তাল: কাহার্বা
গানের শুরুতে নীচের কথাগুলি সাপুড়েদের মন্ত্র-পড়ার ঢংয়ে আবৃত্তি করা হয়েছে :
"খা খা খা
তোর বক্ষিলারে খা
তারি দিব্যি ফণাতে তোর যে ঠাকুরের পা'।
বিষহরি শিবের আজ্ঞ্যে দোহাই মনসা,
আমায় যদি কামড়াস খাস জরৎ-কারুর হাড়
নাচ নাগিনী ফণা তুলে, নাচ রে হেলেদুলে
মারলে ছোবল বিষ-দাঁত তোর অমনি নেব তুলে
বাজ তুবরী বাজ ডমরু বাজ, নাচ রে নাগ-রাজ"॥
সাপুড়িয়া রে ─
বাজাও বাজাও সাপ-খেলানোর বাঁশি।
কালিদহে ঘোর উঠিল তরঙ্গ রে
কালনাগিনী নাচে বাহিরে আসি'॥
ফণি-মনসার কাঁটা-কুঞ্জতলে
গোখ্রা কেউটে এলো দলে দলে রে
সুর শুনে ছুটে এলো পাতাল-তলের
বিষধর বিষধরী রাশি রাশি॥
শন্-শন্-শন্-শন্ পুব হাওয়াতে
তোমার বাঁশি বাজে বাদলা-রাতে
মেঘের ডমরু বাজাও গুরু গুরু বাঁশির সাথে।
অঙ্গ জর জর বিষে
বাঁচাও বিষহরি এসে রে
এ কি বাঁশি বাজালো কালা, সর্বনাশী॥
ভাবসন্ধান:
তথ্যানুসন্ধান:
ক. রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর মাসে H.M.V. রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশ হয়েছিল। সেই সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৩৮ বৎসর।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
একশো গানের নজরুল স্বরলিপি, দ্বিতীয় খণ্ড (হরফ প্রকাশনী। জানুয়ারি ২০০০)। ১ম গান। পৃষ্ঠা: ১-৩।
সুনির্বাচিত নজরুল গীতির স্বরলিপি, প্রথম খণ্ড (সাহিত্যম। অক্টোবর ১৯৭৫)। ৫৬ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ১৫৩-১৫৫।
নার্গিস (হরফ প্রকাশনী। জ্যৈষ্ঠ ১৩৭৮ বঙ্গাব্দ)। ২য় গান। পৃষ্ঠা: ৪-৬।
নজরুল গীতি, অখণ্ড (আব্দুল আজীজ আল-আমান, সম্পাদিত)। (হরফ প্রকাশনী। জানুয়ারি ২০০৪)। লোকগীতি। গান: ২১০৭। পৃষ্ঠা: ৫৫৭।
বুলবুল─দ্বিতীয় খণ্ড (১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩৫৯ বঙ্গাব্দ)। [নজরুল-রচনাবলী─ষষ্ঠ খণ্ড (বাংলা একাডেমী। ২৭ আগস্ট, ২০০৭)]। ৭৬ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ২৯২।
বেতার: