বিষয়:
নজরুল
সঙ্গীত।
গান সংখ্যা : ৬৯৬
শিরোনাম:
পিউ
পিউ বোলে পাপিয়া
পাঠ ও পাঠভেদ:
৬৯৬
রাগ: ললিত, তাল: ত্রিতাল।
পিউ পিউ বিরহী পাপিয়া বোলে;
কৃষ্ণচূড়া বনে ফাগুন সমীরণে
ঝুরে ফুল বন পথতলে॥
নিশি পোহায়ে যায় কাহার লাগি
নয়নে নাহি ঘুম বসিয়া জাগি
আমারই মত হায় চাহিয়া আশা পথ
নিশীথের চাঁদ পড়ে গগনে ঢলে॥
ভাবসন্ধান:
তথ্যানুসন্ধান:
ক. রচনার প্রেক্ষাপট, কাল ও স্থান:
রচনার প্রেক্ষাপট: ভারতী রাগ সঙ্গীতে নানা দিক নিয়ে নজরুল ইসলাম নানা রকমের গবেষণা করেছিলেন। 'যাম-যোজনায় কড়ি মধ্যম' হলো তার একটি। ভারতীয় রাগ-সঙ্গীত শাস্ত্রে রাগ-পরিবেশনায় দিনের বিভিন্ন সময় এবং ঋতু বৈচিত্র্যের প্রভাব রয়েছে। দিনের বিচারে ভারতীয় সঙ্গীতঋষিরা দিবারাত্রির বিভাজিত অংশ হিসেবে প্রহর বা যাম নামক এককটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। এই গবেষণার সূত্রে তিনি রচনা করেছিলেন 'যাম-যোজনায় কড়ি মধ্যম নামক একটি গীতি আলেখ্য। এটি কলকাতা বেতারে প্রচারিত হয়েছিল ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ২২শে জুন।
এই গীতি আলেখ্যের প্রথম ৮টি রাগাশ্রয়ী গানের প্রথম গানটিই ছিল 'পিউ পিউ বিরহী পাপিয়া বোলে'। এই গানের শুরুতে যাম যোজনায় ললিত রাগের ভূমিকা এবং কড়ি মধ্যমের প্রকৃতি সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। নিচে নজরুলের পাণ্ডুলিপি থেকে এই বিষয়ক পাঠ তুলে ধরা হলো।এক অহোরাত্র আট প্রহরে বা যামে বিভক্ত। অর্থাৎ প্রতি তিন ঘন্টায় এক প্রহর বা যাম। সঙ্গীতের স্বর সপ্তকের মধ্যে কড়ি 'মা' বা তীব্র মধ্যম স্বর এই যাম বা প্রহর যোজনায় সেতু স্বরূপ। প্রতি প্রহরকে এই তীব্র মধ্যম যেন আহবান করে আনে আগত প্রহরের সাথে বিদায় প্রহরের পরিচয় ক'রে দেয়! নিশির শেষ প্রহরে যে রাগ গীত হয়, তার মধ্যে ললিত রাগ অন্যতম। ললিত রাগের শুদ্ধ ও তীব্র দুই মা।
"পা" নেই বলেই বোধ হয় দুই মার কোলে ললিত রাগ লালিত হয়েছে। এই রাগের খেয়াল শুনুন। 'মা' এ রাগের প্রাণ। [পাণ্ডুলিপি নমুনা]রচনাকাল স্থান: ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে H.M.V. রেকর্ড কোম্পানি গানটি প্রথম রেকর্ড করে। সম্ভবত তিনি কলকাতায় অবস্থানকালে এ গানটি রচনা করেছিলেন এই বছরেই। এই ধারণা থেকে অনুমান করা যায়, গানটি রচনার সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৪০ বৎসর।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
সুনির্বাচিত নজরুলগীতির স্বরলিপি দ্বিতীয় খণ্ড (সাহিত্যম, কলকাতা, আগষ্ট ১৯৭৬)। পৃষ্ঠা: ২১৮-২১৯।
একশো গানের নজরুল স্বরলিপি, চতুর্থ খণ্ড (হরফ প্রকাশনী ১৪০৬)। গান সংখ্যা ১৫। ললিত। ত্রিতাল। পৃষ্ঠা: ১০৮-১০৯।
কলগীতি (হরফ প্রকাশনী, ১৩৭৯ বঙ্গাব্দ)। ১৫ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৪৯-৫০
শ্রেষ্ঠ
নজরুল স্বরলিপি (হরফ প্রকাশনী ১৯৯৯)। গান সংখ্যা ২৫০। পৃষ্ঠা: ৬৩৯-৬৪০।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী: