বিষয় :
নজরুল
সঙ্গীত।
গান সংখ্যা : ৭০.
শিরোনাম
:
নব কিশলয়-রাঙা শয্যা
পাতিয়া
পাঠ ও পাঠভেদ:
৭০.
তাল: ফেরতা (দাদরা ও কাহার্বা)
নব কিশলয়-রাঙা শয্যা পাতিয়া
বালিকা-কুঁড়ির মালিকা গাঁথিয়া
আমি একেলা জাগি রজনী
বঁধু, এলো না তো কই সজনী,
বিজনে বসিয়া রচিলাম বৃথা
বনফুল দিয়া ব্যজনী।
কৃষ্ণচূড়ার কলিকা অফুট
আমি তুলি আনি' বৃথা রচিনু মুকুট,
মোর হৃদয়ের রাজা এলো না,
আমার হৃদি-সিংহাসন শূন্য রহিল
আমি যাহার লাগিয়া বাসর সাজাই
সে ভাবে মিছে এ খেলনা (সখি)।
সে-যে জীবন লইয়া খেলা করে সখি,
আমি মরণের তীরে ব'সে তা'রে ডাকি
হেসে যায় বঁধু আন্ঘরে
সে-যে জীবন লইয়া খেলা করে।
সে-যে পাষাণের মূরতি বৃথা পূজা-আরতি
নিবেদন করি তার পায়:
সাধে কি গো বলে সবে পাষাণ গলেছে কবে?
তবু মন পাষাণেই ধায় (সখি রে)।
আমি এবার মরিয়া পুরুষ হইব, বঁধু হবে কুলবালা
দিয়ে তারে ব্যথা যাব যথাতথা বুঝিবে সেদিন কালা,
বিরহিনীর কী যে জ্বালা তখনি বুঝিবে কালা।
দিয়ে তারে ব্যথা যাব যথাতথা বুঝিবে সেদিন কালা॥
ভাবসন্ধান:
তথ্যানুসন্ধান:
ক. রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে H.M.V. রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশ হয়েছিল। সেই সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৩৫ বৎসর।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
বেতার: কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জানুয়ারি তারিখে কলহ (পালা কীর্ত্তন) নামক অনুষ্ঠানে গানটি সম্প্রচারিত হয়েছিল।
পত্রিকা:
রেকর্ড সূত্র:
১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে H.M.V. রেকর্ড কোম্পানি গানটি প্রথম রেকর্ড করে। রেকর্ড নং- N.7207.। শিল্পী ছিলেন গোপাল সেন। সুরকার ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম।
১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে COLUMBIA. রেকর্ড কোম্পানি গানটি দ্বিতীয়বার রেকর্ড করে। রেকর্ড নং- G.E. 2866.। শিল্পী ছিলেন উত্তরা দেবী। সুরকার নিতাই ঘটক। [শ্রবণ নমুনা]
[সূত্র: পাণ্ডুলিপি (নজরুল সঙ্গীত সম্ভার, ঢাকা)]
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
কাজী নজরুল ইসলাম। [রেকর্ড সূত্র]
নিতাই ঘটক। [রেকর্ড সূত্র]
স্বরলিপিকার :
ফেরতা (দাদরা ও কাহার্বা)। [নজরুল-সঙ্গীত স্বরলিপি, তৃতীয় খণ্ড (নজরুল ইন্সটিটিউট। এপ্রিল ১৯৯৬)]
লোফা। [একশো গানের নজরুল স্বরলিপি, নবম খণ্ড (হরফ প্রকাশনী। জানুয়ারি ২০০০)]