*৮৭২.
                রাগ: পাহাড়ি মিশ্র, তাল: দাদ্‌রা

            দাঁড়ালে দুয়ারে মোর          কে তুমি ভিখারিনী।
            গাহিয়া সজল চোখে           বেলা-শেষের রাগিণী॥
            মিনতি-ভরা আঁখি              ওগো কে তুমি ঝড়ের পাখি
(ওগো)   কি দিয়ে জুড়াই ব্যথা          কেমনে কোথায় রাখি
            কোন্ প্রিয় নামে ডাকি'        মান ভাঙাব মানিনী॥
            বুকে তোমায় রাখতে প্রিয়     চোখে আমার বারি ঝরে,
(ওগো)   চোখে যদি রাখিতে চাই        বুকে ওঠে ব্যথা ভ'রে।
            যত দেখি তত হায়,            ওগো পিপাসা বাড়িয়া যায়
            কে তুমি যাদুকরী               স্বপন-মরু-চারিণী॥

ভাবসন্ধান: কোনো এক প্রেম-পিপাসিনী প্রেম নিবেদনে কবি-চিত্তকে উদ্বেলিত করেছে। সে নিজেকে নিবেদন করছে ভিখারিনীর মতো। কবির গুণমুগ্ধ এই নারী তার আত্মনিবেদনে কবিকেও যেন প্রেমের ভিখারী করছে। মুগ্ধ করেছে তার অপরূপ সৌন্দর্যে।  এই প্রণয় নিবেদন কবির কাছে বেলা শেষের রাগিণীর মতো। যেন জীবন সায়াহ্নের ছায়া ফেলেছে সে নিবেদনে। সংসারের বহু যন্ত্রণাদগ্ধ জীবন পরিক্রমায় এই নারী ঝড়ের পাখির মতো বিধ্বস্ত। কোন সান্ত্বনা দিয়ে তাকে আপন করে নেবেন, কবি তার হদিস পাচ্ছেন না। কিম্বা কোন প্রিয় নামে ডেকে তার অভিমানী চিত্তকে শান্ত করবেন, কবি তাও জানেন না

কবি চান তার সকল যন্ত্রণার দূর করে তাকে আপন করে নিতে। তার এই যন্ত্রণাদ্গ্ধ জীবনের অনুভব কবির চোখকে প্লাবিত করে। তবু কবি ওই নারীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ। যতই তাকে দেখে, ততই তার প্রতি তার মোহ বেড়ে যায়। কবির কাছে মনে হয়, এই নারী সামান্যা নয়, যেন মরুভূমির কোনো স্বপ্নস্বরূপিণী।

১. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:

২. রেকর্ড সূত্র: ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে মেগাফোন  রেকর্ড কোম্পানি গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশ করে। রেকর্ড নং- জে.এন.জি. ৪৪। সুর ও শিল্পী - কাজী নজরুল ইসলাম।

৩. রচনাকাল: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে জানা যায় না। ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে মেগাফোন রেকর্ড কোম্পানি গানটি প্রথম রেকর্ড করে। সেই অনুযায়ী,
          গানটি নজরুল ইসলামের ৩৪ বৎসর বয়সে প্রকাশিত হয়েছিল।

৪. প্রাসঙ্গিক পাঠ: 

৫. সুরকার: কাজী নজরুল ইসলাম।

৬. স্বরলিপিকার:

৭. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
রাগ:
পাহাড়ি মিশ্র।
তাল:
দাদরা।
সুরের অঙ্গ:
গজল।
পর্যায়:
গ্রহস্বর: