বিষয় :
নজরুল
সঙ্গীত।
গান সংখ্যা : ৮৮.
শিরোনাম
:
আসে বসন্ত ফুল বনে সাজে বনভূমি সুন্দরী
পাঠ ও পাঠভেদ:
রাগঃ ভীমপলশ্রী, তালঃ দাদ্রা
আসে বসন্ত ফুল বনে সাজে বনভূমি সুন্দরী,
চরণে পায়েলা রুমুঝুমু মধুপ উঠিছে গুঞ্জরি (আহা)॥
দুলে আলোছায়া বন-দুকূল
ওড়ে প্রজাপতি কল্কা ফুল
কর্ণে অতসী স্বর্ণ-দুল্
আলোক-লতার সাতনরী॥
সোনার গোধূলি নামিয়া আয়
আমার রূপালি ফুল-শোভায়
আমার সজল আঁখি-পাতায়
আয় রামধনু রঙ ধরি'।
কবি, তোর ফুলমালী কেমন
ফাগুনে শুষ্ক পুষ্প-বন
বরিবি বঁধুরে এলে চ্যমন (আহা)
রিক্ত হাতে কি ফুল ভরি'॥
১৩৩৩ বঙ্গাব্দের
অগ্রহায়ণে মিশরের নৃত্যশিল্পী মিস্ ফরিদা কলকাতার আলফ্রেড রঙ্গমঞ্চে নৃত্য
পরিবেশন করতে এসেছিলেন। সেই নৃত্যানুষ্ঠান নজরুল দেখেছিলেন। উর্দু গজল "কিসকি
খায়রো ম্যাঁয় না জানি, মেঁ দিল হিলা দিয়া" সহযোগে উর্বশী ফরিদার লীলায়িত
ভঙ্গিমার নাচ কবির মনে উদ্দি্পনার সঞ্চার করেছিল। তিনি এই গজল গানের
অনুপ্রেরণায় ও সুরের কাঠামোয় ১৩৩৩ বঙ্গাব্দের ২৮ অগ্রহায়ণ কৃষ্ণনগরে লিখলেন এই
বাংলা গজলটি।
[সূত্র:
ব্রহ্মমোহন ঠাকুরঃ নজরুল সঙ্গীত নির্দেশিকা, পৃষ্ঠা- ৮৬ ও ৮৭।]
বি.দ্র.:
গীতিগ্রন্থ, নাটক ও রেকর্ড তিনটি মাধ্যমে গানটির পাঠান্তর রয়েছে।
[সূত্র:
নজরুল সঙ্গীত নির্দেশিকা,
ব্রহ্মমোহন ঠাকুর (নজরুল ইন্সটিটিউট। মে ২০০৯)।
৩২৮ সংখ্যক গান।
পৃষ্ঠা:
৮৬-৮৭।]
ভাবসন্ধান:
তথ্যানুসন্ধান:
ক. রচনাকাল ও স্থান:
গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
তবে ধারণা করা যায়, গানটি নজরুল ইসলামের ২৭/২৮ বছর বয়সে রচনা করা হয়েছিল।
উপলক্ষ: মিশরের নৃত্যশিল্পী মিস্ ফরিদার নৃত্যসহ পরিবেশিত উর্দু
গজল 'কিসকি খায়রো ম্যঁয় সাজনে' -এর প্রভাবে গানটি লিখিত হয়েছিল ১৩৩৩ বঙ্গাব্দের
২৮ শে অগ্রহায়ণ তারিখে।
[সূত্র:
নজরুল সঙ্গীত নির্দেশিকা,
ব্রহ্মমোহন ঠাকুর (নজরুল
ইন্সটিটিউট। মে ২০০৯)।
৩২৮ সংখ্যক গান।
পৃষ্ঠা: ৮৬-৮৭।]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
বেতার:
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী: