৯৭২.
রাগ: ইমন মিশ্র, তাল: কাহার্‌বা

বসিয়া বিজনে             কেন একা মনে
পানিয়া ভরণে             চলো লো গোরী।
চলো জলে চলো          কাঁদে বনতল
ডাকে ছলছল              জল-লহরি॥
দিবা চ'লে যায়            বলাকা-পাখায়
বিহগের বুকে              বিহগী লুকায়।
কেঁদে চখা-চখি            মাগিছে বিদায়
বারোয়াঁর সুরে             ঝুরে বাঁশরি॥
ওগো বে-দরদি            ও রাঙা পায়ে
মালা হয়ে কে গো         গেল জড়ায়ে।
তব সাথে কবি             পড়িল দায়ে
পায়ে রাখি তারে           না গলে পরি॥

ভাবসন্ধান:

১. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:

• নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ, (নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮। ফেব্রুয়ারি ২০১২) -এর ৯৭২ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ২৯৮-২৯৯।
• নজরুল-সঙ্গীত স্বরলিপি, তেত্রিশতম খণ্ড, (নজরুল ইন্সটিটিউট, আষাঢ় ১৪১৭। জুন ২০১০) -এর ২৫ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৮৬-৮৮।
• সুর-মুকুর, (ডি. এম. লাইব্রেরী, জ্যৈষ্ঠ ১৪০৬। মে ১৯৯৯) -এর ১১ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৩৪-৩৬।
• বুলবুল (কার্তিক ১৩৩৫ বঙ্গাব্দ। ১৫ নভেম্বর, ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দ)। [নজরুল-রচনাবলী, দ্বিতীয় খণ্ড (বাংলা একাডেমী, ফাল্গুন ১৪১৩। ফেব্রুয়ারি ২০০৭)] -এর ৩ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ১৫২-১৫৩।
• নজরুল-গীতিকা (ভাদ্র ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ। ২ সেপ্টেম্বর, ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দ)। [নজরুল-রচনাবলী, তৃতীয় খণ্ড (বাংলা একাডেমী, ফাল্গুন ১৪১৩। ফেব্রুয়ারি ২০০৭)] -এর ৫৭ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ২০৯-২১০।
• পত্রিকা: কল্লোল, ফাল্গুন ১৩৩৩। শিরোনাম- গজল গান।

২. রেকর্ড সূত্র : ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর মাসে H.M.V. রেকর্ড কোম্পানি গানটি প্রথম রেকর্ড করে। রেকর্ড নং P. 11638  । শিল্পী ছিলেন কে. মল্লিক। 

৩. রচনাকাল : গানটির রচনাকাল সম্পর্কে জানা যায় না। ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর মাসে H.M.V. রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হ্‌ওয়ার সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৩০ বৎসর।

৪. প্রাসঙ্গিক পাঠ :

• বুলবুল (কার্তিক ১৩৩৫ বঙ্গাব্দ। ১৫ নভেম্বর, ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দ)। [নজরুল-রচনাবলী, দ্বিতীয় খণ্ড (বাংলা একাডেমী, ফাল্গুন ১৪১৩। ফেব্রুয়ারি ২০০৭)] -এর ৩ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ১৫২-১৫৩।     এবং     নজরুল-গীতিকা (ভাদ্র ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ। ২ সেপ্টেম্বর, ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দ)। [নজরুল-রচনাবলী, তৃতীয় খণ্ড (বাংলা একাডেমী, ফাল্গুন ১৪১৩। ফেব্রুয়ারি ২০০৭)] -এর ৫৭ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ২০৯-২১০। ----- গ্রন্থ দু'টির মধ্যে গানটির কিছু বাড়তি অংশ পাওয়া যায়, যা নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ  -বইটিতে দেয়া হয়নি।
  সম্পূর্ণ গানটি নিম্নে তুলে দেয়া হল,--
  
  বসিয়া বিজনে             কেন একা মনে
  পানিয়া ভরণে             চলো লো গোরী।
  চলো জলে চলো          কাঁদে বনতল
  ডাকে ছলছল              জল-লহরি॥
  
  দিবা চ'লে যায়            বলাকা-পাখায়
  বিহগের বুকে              বিহগী লুকায়।
  কেঁদে চখা-চখি            মাগিছে বিদায়
  বারোয়াঁর সুরে             ঝুরে বাঁশরি॥
  
  সাঁঝ হেরে মুখ             চাঁদ-মুকুরে
  ছায়াপথ-সিঁথি             রচি চিকুরে,
  নাচে ছায়া-নটী            কানন-পুরে
  দুলে লটপট                লতা-কবরী॥
  
  'বেলা গেল বধূ'            ডাকে ননদী,
  চল জল নিতে              যাবি লো যদি,
  কালো হয়ে আসে          সুদূর নদী,
  নাগরিকা-সাজে             সাজে নগরী॥
  
  মাঝি বাঁধে তরী            সিনান-ঘাটে,
  ফিরিছে পথিক             বিজন মাঠে,
  কারে ভেবে বেলা          কাঁদিয়া কাটে
  ভর আঁখি-জলে             ঘট গাগরী॥
  
  ওগো বে-দরদি            ও রাঙা পায়ে
  মালা হয়ে কে গো         গেল জড়ায়ে।
  তব সাথে কবি             পড়িল দায়ে
  পায়ে রাখি তারে           না গলে পরি॥

৫. সুরকার: কাজী নজরুল ইসলাম। [সুর-মুকুর, (ডি. এম. লাইব্রেরী, জ্যৈষ্ঠ ১৪০৬। মে ১৯৯৯) -এর ১১ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৩৪-৩৬]।

৬. স্বরলিপিকার :

• এস.এম.আহসান মুর্শেদ। [নজরুল-সঙ্গীত স্বরলিপি, তেত্রিশতম খণ্ড, (নজরুল ইন্সটিটিউট, আষাঢ় ১৪১৭। জুন ২০১০) -এর ২৫ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৮৬-৮৮]।
• নলিনীকান্ত সরকার। [সুর-মুকুর, (ডি. এম. লাইব্রেরী, জ্যৈষ্ঠ ১৪০৬। মে ১৯৯৯) -এর ১১ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৩৪-৩৬]।

৭. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী :  
রাগ: ইমন মিশ্র।
তাল: কাহারবা।
সুরের অঙ্গ: গজল।
পর্যায়: 
গ্রহস্বর: 

• সরা। [নজরুল-সঙ্গীত স্বরলিপি, তেত্রিশতম খণ্ড, (নজরুল ইন্সটিটিউট, আষাঢ় ১৪১৭। জুন ২০১০) -এর ২৫ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৮৬-৮৮]।
• মা। [সুর-মুকুর, (ডি. এম. লাইব্রেরী, জ্যৈষ্ঠ ১৪০৬। মে ১৯৯৯) -এর ১১ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৩৪-৩৬]।