চালের পুষ্টি গুণ (প্রতি ১০০ গ্রাম) | |
---|---|
শর্করা | ৮০ গ্রাম |
- চিনি | ০.১২ গ্রাম |
- ডায়াট্রি আঁশ | ১.৩ গ্রাম |
চর্বি | ০.৬৬ গ্রাম |
আমিষ | ৭.১৩ গ্রাম |
পানি | ১১.৬১ গ্রাম |
থায়ামিন (ভিটামিন, বি-১) | ০.০৭০১ মিলিগ্রাম (৬%) |
রিবোফ্লেভিন (ভিটামিন, বি-২) | ০.০১৪৯ মিলিগ্রাম (১%) |
নিয়াসিন (ভিটামিন, বি-৩) | ১.৬২ মিলিগ্রাম (১১%) |
প্যান্টোথেনিক এসিড (বি-৫) | ১.০১৪ মিলিগ্রাম (২০%) |
ভিটামিন, বি-৬ | ০.১৬৪ মিলিগ্রাম (১৩%) |
ক্যালসিয়াম | ২৮ মিলিগ্রাম (৩%) |
লৌহ | ০.৮০ মিলিগ্রাম (৬%) |
ম্যাগনেশিয়াম | ২৫ মিলিগ্রাম (৭%) |
ম্যাঙ্গানিজ | ১.০৮৮ মিলিগ্রাম (৫২%) |
ফসফরাস | ১১৫ মিলিগ্রাম (১৬%) |
পটাশিয়াম | ১১৫ মিলিগ্রাম (২%) |
দস্তা | ১.০৯ মিলিগ্রাম (১১%) |
ভাত
ভাত এক ধরনের শর্করা জাতীয় খাবার। ভাত
বাঙালির প্রধান খাদ্য। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ, শ্রীলংকা, নেপাল,
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ, চীন ইত্যাদি অঞ্চলের মানুষের প্রধান শর্করা জাতীয়
খাদ্য।
নানা দেশে বিভিন্ন ধরনের উপকরণ মিশিয়ে মুখরোচক এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার তৈরি
করা হয়। কোন কিছু বাড়তি উপকরণ না মিশিয়ে যে ভাত তৈরি করা হয় তাকে বলে সাদা ভাত।
কিন্তু নানারকম উপকরণ মিশিয়ে যে ভাত তৈরি করা হয়, সেগুলোর নানারকম নাম আছে। যেমন: মাংস
মিশ্রিত ভাতকে বলা হয় বিরিয়ানী। সব্জী মিশ্রিত ভাতকে বলা হয় সব্জী বিরিয়ানী। ডাল বা
মশলা মিশ্রিত করে যে ভাত রান্না করা হয় তাকে বলে খিচুরী।
ভাত তৈরির পদ্ধতি :
এটি চাল থেকে প্রস্তুত করা হয়। প্রথমে পরিমাণ
মতো চাল নিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিতে হয়। এরপর একটি হাড়িতে পরিমাণ মতো চাল পানি নিয়ে তার
ভিতর ধোয়া চাল ঢেলে দিতে হবে। এক্ষেত্রে চালের উপরে আঙুলের তিন বা চাড় পর্ব পর্যন্ত
পানির উচ্চতা মাপা হয়। এরপর পাতিলের মুখে ঢাকনা দিয়ে চুলায় বসিয়ে জ্বাল দেওয়া হয়।
এই অবস্থায় কিছুক্ষণের ভিতরে চাল সিদ্ধ হয়ে ভাতে পরিণত হয়। চালগুলো ভালোমতো সেদ্ধ না হওয়া
এই প্রক্রিয়াটি চলতে থেকে। পাতিলের নিচের দিকের চাল যাতে পুড়ে না যায়, এই কারণে
কোনো দণ্ড বা চামচ দিয়ে নেড়ে দিতে হয়। চাল ঠিক মতো সিদ্ধ হয়েছে কিনা, তা পরীক্ষার
জন্য ফুটন্ত পাতিল থেকে চামচ দিয়ে দু'একটি ভাত তুলে পরীক্ষা করা হয়। চালগুলো যখন পুরোপুরি সেদ্ধ হয়ে
যাবে তখন বাড়তি পানিগুলো ঝরিয়ে ফেলতে হবে। অনেকে পানির মাপটা এত ভালো জানেন যে, ভাত
তৈরি হ্ওয়ার পর কোনো বাড়তি পানি থাকে না। ভাত রান্নার পর, ভাত থেকে পৃথক করা জলীয়
অংশকে ফেন বা মাড় বলা হয়। মূলত চাল সিদ্ধ করার সময় অনেক ভাতের দানা ফেটে
গিয়ে তার ভিতরের স্টার্চ পানিতে মিশে যায়। ভাতের ফেনে ভাতের অনেক পুষ্টিকর অংশ
দ্রবীভূত থাকে। তাই ভাতের পূর্ণ পুষ্টিগুণ পেতে হলে, ফেন ফেলে দেওয়া উচিৎ নয়।
ভাতের স্বাভাবিক রং সাদা। ভাত সাধারণত মাছ, মাংস, ডাল, বিভিন্ন রকমের
তরকারী ইত্যাদি দিয়ে পরিবেশন করা হয়।
গ্রন্থনা : লিপি সরকার