১ ডিসেম্বর ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দ (বুধবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৩৭৮)
|
|
কুষ্টিয়া |
কুষ্টিয়ার নিকটবর্তী মুন্সীগঞ্জ ও আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনের মাঝখানে মুক্তিযোদ্ধাদের মাইন বিস্ফোরণের পাক সৈন্যবাহী ট্রেন বিধ্বস্ত করে। এতে বহু পাকসেনা হতাহত হয়।
|
|
পাবনা |
পাবনা সদর | নাজিরপুর গ্রাম।
গভীর রাতে মুক্তিবাহিনীর সন্ধানে আলবদর ও পাকসৈন্য এই গ্রামটি ঘিরে ফেলে। পরে ভোর
থেকে এই গ্রামে এলোপাথারি গুলি করতে। থাকে। এই সময় কিছু লোক
শহিদ হন। এর আতংকিত
লোকদের এরা জড় করে। এই ফাঁকে আলবদরের সদস্যরা ব্যাপক লুটপাট করে। এরপর পাকসৈন্যরা
গ্রামটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘর ছেড়ে মহিলারা বাইরে বেরিয়ে এলে পাকসৈন্য এবং
আলবদরসদ্যরা ব্যাপক ধর্ষণে মতে ওঠে। পরে এই এলাকার শতাধিক ব্যক্তিকে হাত ও চোখ বেঁধে
ওই এলাকা সংলগ্ন পাবনা-পাকশী সড়কের উত্তর দিকে নিয়ে আসে এবং একটি খালের পাড়ে দাঁড়
করিয়ে হত্যা করে।
|
|
কুমিল্লা
|
কসবা রণাঙ্গনে মুক্তিবাহিনীর
সাথে পাকবাহিনীর যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে ৬০জনের বেশি পাকসেনা নিহত হয়।
|
|
ঢাকা
|
- জিঞ্জিরায় গণহত্যা। খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে নিউইয়র্ক টাইমস
পত্রিকার এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, গেরিলা সন্দেহে জিঞ্জিরার অনেক যুবককে
সারিবদ্ধভাবে দাড় করিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বুড়িগঙ্গার অপর পাড়ের এই গ্রামটিতে
অন্তত ৮৭ জনকে হত্যা করেছে পাক হানাদার বাহিনী। নারী, শিশুরা পর্যন্ত তাদের
নিষ্ঠুরতার হাত থেকে রক্ষা পায় নি।
- ঢাকা মহানগরে বোমা হামলা। জুলফিকার আলী ভুট্টো দুমাস আগে ঢাকায় পিপলস পার্টির যে অফিস উদ্বোধন করে সেখানে
বোমা বিস্ফোরণের ফলে তা
মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এদিনে।
|
|
সিলেট
|
- কানাইঘাটের যুদ্ধ। মুক্তিবাহিনীর সাথে পাকবাহীনীর যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে ৩০ জন পাকসেনা ও রাজাকার নিহত হয়। জুড়ি, বড়লেখা
এলাকা থেকে পাকবাহিনী কামান সরিয়ে ফেলে। পরে পাকসেনারা কুলাউড়া দিকে পালিয়ে
যায়।
- ছাতকে যুদ্ধ। ছাতক শহরে মুক্তিবাহিনী ও পাকসেনাদের মধ্যে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়।
যুদ্ধে ৬৫ জন রাজাকার নিহত হয়।
- মুক্তাঞ্চল
- আলিরগাঁও, গারা, টেংরাটিলা, দুয়ারাবাজার, পিরিজপুর,
মৌলভীবাজার শমসের নগর ও সুনামগঞ্জ মুক্ত হয়।
|
|
ভারত ও অন্যান্য দেশের
প্রতিক্রিয়া |
- ভারত:
এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী পার্লামেন্টের উচ্চ পরিষদে বক্তৃতাকালে
উপমহাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইয়াহিয়া খানের প্রতি বাংলাদেশ থেকে
পাকিস্থানি সৈন্য প্রত্যাহারের আহবান জানান।
|