১৯৭১ এবং
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ
ভোর বেলায়
পাকিস্তানি সৈন্যরা উল্লিখত গ্রামগুলোতে হানা দেয়। প্রায় ৩০০ পুরুষকে ধরে নিয়ে গিয়ে
স্থানীয় স্কুল মাঠে হত্যা করে। এছাড়া এই গ্রামগুলোতে আরও কিছু লোককে বিচ্ছিন্নভাবে
বিভিন্ন স্থানে হত্যা করে।
হত্যাকাণ্ড সমাপ্ত করার পর দুপুর ৩টার দিকে তারা সুজানগর থানার পথ ধরে, পাবনা সহরে
ফিরে যায়।
এই গণহত্যায় সহযোগিতা করেছিল- সিংহনগরের ট্যাগা খাঁ এবং তার ভাতিজা মোস্তফা খা।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ট্যাগা খাঁ-কে মুক্তিযোদ্ধারা হত্যা করেছিল। কিন্তু তার ভাতিজা
মোস্তফা খাঁ পুরো স্বাধীনতা যুদ্ধকালে পাবনা সদরে থেকে রাজাকার বাহিনীর নেতা হিসাবে
কুখ্যাতি অর্জন করেছিল। স্বাধীনতা লাভের পর, মোস্তফা খাঁ আর গ্রামে ফিরে আসে নি।
যতটুকু জানা যায়, সে এখনো জীবিত আছে।