১লা মে (
(শনিবার, ১৭ বৈশাখ্ ১৩৭৮)-এর হত্যাকাণ্ড
সিলেট:
-
পাকিস্তানি সৈন্যরা
সিলেটের শহরের তারাপুর চা বাগানে হত্যাকাণ্ড চালায়। এটি ছিল ১৮ই এপ্রিলে
সংঘটিত হত্যা ও ধর্ষণের একটি ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ড। উল্লেখ্য,
১৮ই এপ্রিল পাকিস্তানি সৈন্যরা সিলেট শহরের তারাপুর চা বাগানের পরিবারের পুরুষদের
ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে এবং চা বাগানের মালিক ছিলেন রাজেন্দ্র গুপ্তের তিন কন্যাকে
ধর্ষণ করে। এরই সূত্র ধরে, পাকিস্তানি সৈন্যরা দ্বিতীয়বার হত্যাযজ্ঞ চালায় ১লা
মে-তে। [১৮ই এপ্রিল-এর ঘটনা]
১৮ই এপ্রিলের ঘটনার পর, ঐদিনই রাজেন্দ্র গুপ্তের মেয়েরা এবং ডা ক্ষীতিশ এর
পরিবার-সহ আরো কয়েকটা পরিবার ভারতের দিকে রওয়ানা হয়।
১লা মে’র সকালের দিকে পাকিস্তানিরা এসে ভারতে চলে যাওয়া মানুষদের সন্ধান করে। এদের
না পেয়ে, এরা বাড়ির প্রহরীকে হত্যা করে। এরপর বাড়ি থেকে অন্যান্য সদস্যদের বন্দী
করে নিয়ে যায়। এদের ভিতরে ছিলেন পঙ্কজ কুমার গুপ্ত, নরেশ চক্রবর্তী, তার ছেলে
নারায়ণ চক্রবর্তী, কাজের লোক দুর্গেশ দাস ও মহেন্দ্র পাল। এদেরকে পরে ঘোষপাড়া
গ্রামে নিয়ে এসে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে এদের হত্যা করা হয়। এই সময় পঙ্কজ কুমার
গুপ্তকে গুলি করার আগ মুহূর্তে তিনি বলেছিলেন, “হামকো মাত মার, হাম মুসলমান হোযায়ে
গা …” ; পরে তাকে আমানত আলী নাম দিয়ে দর্জিপাড়ার এক মুসলিম বাড়িতে রাখা হয়। ওই দিনই
আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয় লাশগুলো।