অপরাজেয় ৭‌১
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে বাংলাদেশের ঠাকুর গাঁও-এর টাঙ্গন নদীর ধারে, টাঙ্গন সেতুর কাছে  স্থাপিত স্মৃতিসৌধ।

এই স্মৃতি সৌধটির শুরুর দিকে ডঃ মুহম্মদ শহীদ উজ্জামান  'মুক্তির মন্দির সোপান তলে' নামক একটি প্রাথমিক নকশা তৈরি করেছিলেন। মূলত এটি ছিল ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, তেভাগা আর মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মারক চিহ্ন হিসেবে। এই নকশানুসারে এঁদের ইএসডিও নামক সংগঠন এর বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। তৎকালীন ঠাকুরগাঁও জেলার জেলা প্রশাসক জনাব মো: শহীদুজ্জামান ‘মুক্তির মন্দির সোপান তলে’ দেখে মুগ্ধ হন। পরে তাঁর উদ্যোগে এবং  তৎকালীন পানি সম্পদ মন্ত্রী ও এমপি রমেশ চন্দ্র সেন মহোদয়ের উৎসাহে, বর্তমান অপরাজেয়’ ৭১-এর নামক একটি স্মৃতিস্তম্ম্ভ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ইএসডিও’র তৎকালীন জোনাল ম্যানেজার উদয় বাবুর কাকাতো ভাই দিনাজপুর জেলা স্কুলের ড্রয়িং শিক্ষক হিমাংশু রায় এই স্মৃতিস্তম্ভের পাঁচটি নকশা তৈরি করেন। এই নকশাগুলোর ভিতর থেকে একটি নকশা নির্বাচিত হয়। এই নকশার মূল বিষয়গুলো ছিল-

এই নকশানুসারে তৎকালীন ঠাকুরগাঁও জেলার এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো: শরিফুল ইসলাম গাঠনিক নকশা এবং এর খরচ নিরূপণ করেন। এই সময় এর প্রাথমিক নির্মাণ ব্যয় অনুমিত হয়েছিল  প্রায় চল্লিশ লক্ষ টাকা। অবশ্য নির্মাণ ব্যয় শেষ পর্যন্ত দাঁড়িয়েছিল তেতাল্লিশ লক্ষ টাকা। প্রাথমিকভাবে এর পাঁচটি নাম প্রস্তবাকারে এসেছিল। এগুলো হলো- বিজয়’ ৭১, মুক্তিযুদ্ধে ঠাকুরগাঁও, চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ, সংগ্রাম’ ৭১ এবং অপরাজেয়’ ৭১। শেষ পর্যন্ত
জেলা প্রশাসক জনাব শহীদুজ্জামান সাহেবই প্রস্তাবানুসারে এর নামকরণ করা হয় 'অপরাজেয়’ ৭১'।

২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬শে মার্চ এই স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন রমেশ চন্দ্র সেন এমপি। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে ২৫শে মার্চ, অপরাজেয়’ ৭১ উদ্বোধন করেন তৎকালীন পানি সম্পদ মন্ত্রী ও সাংসদ বাবু রমেশ চন্দ্র সেন।