বরইতলা স্মৃতিসৌধ
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের বরইতলা রেললাইনের পাশ্বে স্থাপিত শহিদ স্মৃতিসৌধ।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ই অক্টোবর সকালে ট্রেনে ১৫-২০ জন পাকসেনা এবং ততোধিক রাজাকার সদস্য বরইতলায় আসে। এরা স্থানীয় অধিবাসীদের নিয়ে পাকিস্তানের পক্ষে প্রচার-প্রচারণামূলক একটি সভার আয়োজনের চেষ্টা করতে থাকে। এই সময় পথ হারিয়ে এক পাকিস্তানি সৈন্য দলছুট হয়ে পড়ে। স্থানীয় রাজাকাররা গুজব রটিয়ে দেয় যে, গ্রামবাসীরা পাকিস্তানি সেনাকে গুম করেছে। এরপর গ্রামের লোকজনকে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব রেল লাইনের পাশে জড়ো করে প্রথমে রাইফেল দিয়ে প্রহার করে। পরে ওই রেললাইনের পাশে দাঁড় করিয়ে ৩৬৫জনকে গুলি করে হত্যা করে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর এলাকাবাসী বরইতলার নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ নগর’ এবং স্থানীয় অধিবাসীদের উদ্যোগে নির্মিত হয় একটি স্মৃতিফলক। পরে ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে বরইতলা রেললাইনের পাশে ৬শ ৬৭ বর্গফুট এলাকায় ২৫ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়।