স্মৃতিফলকের প্রথম দিকের দু'টি প্রাচীরের গায়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয়
কবি কাজী নজরুল ইসলামের রচনা থেকে পঙ্ক্তি উল্লেখ করা হয়েছে। পোড়ামাটির ফলকগুলোর
মধ্যে ৫২'র ভাষা আন্দোলন, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ এবং বিজয় অর্জনের আনন্দ মিছিল
উপস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে বুদ্ধিজীবীদের ওপর অত্যাচারের নির্মম দৃশ্য। কয়েকটি
টেরাকোটায় স্থান পেয়েছে চিরায়ত গ্রাম-বাংলার মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য। কলসি কাঁখে
বাংলার রমণী, পরাধীনতার প্রতীক শিকল, শহিদ মিনার, বাংলাদেশের পতাকার মাঝে সূর্য,
ভাষা শহিদদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সড়কদ্বীপের এই স্মৃতিফলকটি তৈরি করেন স্থপতি মোহায়মেন ও মশিউদ্দিন শাকের। তৈরির এক
পর্যায়ে এতে টেরাকোটার ফলক স্থাপন করার বিষয়টি যোগ করা হয়। তবে এর বাস্তবায়ন হয়
চারুকলার শিক্ষক আবু সাঈদ তালুকদার ও শিল্পী রফিকুন নবীর হাত ধরে। এখানে ফলকগুলো
স্থাপন করা হয়েছে মোজাইক করা ধূসর কংক্রিটের উপর। আর শহিদদের নাম-পরিচয় রয়েছে কালো
মার্বেল পাথরে সাদা রঙে।