২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ই নভেম্বর দিরাই স্মৃতিসৌধটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্ভোধন করেন
তৎকালীন জেলা প্রশাসক জনাব সাবের হোসেন। উদ্বোধনের পর স্থানীয় ব্যাংকে দিরাই
স্মৃতিসৌধ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি ডিপোজিট চালুক করা হয়।
স্মৃতিসৌধ নির্মাণের উদ্যোগ, মূল নকশা পরিকল্পনাকারী মোঃ শহীদুল আলম-এর মতে-
“স্মৃতিসৌধের বেদী যেন শাস্বত প্রিয় মাতৃভূমি বাংলার আদি জমিন। মূল স্তম্ভের দু’দিকে মাথা নত করে বিপরীত ভঙ্গীমায় উর্দ্ধমূখী ত্রিভূজে বন্ধীত্ব বরণ করে আছে যেন পরাজিত পাক হানাদর বাহিনী ও তাঁদের এদেশীয় দোসর। আবার উক্ত স্তম্ভ দুটির বিপরীত ভঙ্গীমা আপতঃ ভিন্নমতের প্রকাশ ঘটালেও উর্দ্ধমূখী ত্রিভূজের অগ্রসরতা শৃঙ্খল মুক্তির পশ্নে স্বাধীনতার চেতনা ও কামনায় জাতির ঐক্যমতের বহিঃ প্রকাশ। ত্রিভূজের শীর্ষ জাতির এগিয়ে যাবার হাতছানি ও দৃঢ় প্রত্যয়ের অঙ্গীকার। সেই দৃঢ় প্রত্যয়ে, হার না মানা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার মধ্যে দিয়ে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে মূল স্তম্ভের অগ্রভাগে উদিত হয়েছে টকটকে লাল সূর্য। লাল সূর্যকে বুকে নিয়ে মূল স্মৃতিস্তম্ভটি বহুকাল গেয়ে যাবে শহীদের বীরগাঁথা আর এ জাতির চির উন্নত মমশির।”