৭১এর বধ্যভূমি (দমদমা)
বাংলাদেশের রংপুর-বগুড়া মহাসড়ক দমদমা বধ্যভূমিতে স্থাপিত স্মৃতিস্তম্ভ।

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসের ৩০ তারিখের মধ্যরাতে কারমাইকেল কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে অধ্যাপক সুনীল বরণ চক্রবর্তী, অধ্যাপক রামকৃষ্ণ অধিকারী, অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন রায় এবং অধ্যাপক কালাচাঁদ রায়কে বাসা থেকে বের করে আনে। পরে ক্যাম্পাসের ভিতরেই এঁদের উপর শারীরীক নির্যাতন চালানো হয়। এই অবস্থায় অধ্যাপক কালাচাঁদ রায়ের সহধর্মিণী মঞ্জুশ্রী রায় বাসা থেকে স্বামীকে বাঁচানোর জন্য বেরিয়ে আসে। পরে পাকসেনারা  মঞ্জুশ্রী রায়-সহ অন্যান্য অধ্যাপকদের রংপুর-বগুড়া মহাসড়কের দমদমা ব্রীজ এর কাছে আনে এবং রাস্তা সংলগ্ন একটি বাঁশের ঝাঁড়ে গুলি করে হত্যা করে।

স্বাধীনতা যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে এই স্থানে আরও বহু মানুষকে ধরে হত্যা করে। স্থানীয় অধিবাসীদের মতে- রংপুরের বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক ধরে এনে, ৭ই জন মধ্যরাতে এখানে জড় করে হত্যা করা হয়। এই দিনে প্রায় ২০০ লোককে হত্যা করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে আরও কিছু মানুষকে এখানে এনে হত্যা করা হয়। ফলে

স্বাধীনতার বেশ কিছুদিন পরে ঐ বাঁশ ঝাড় সংলগ্নস্থানকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি নব্বই এর দশকের মাঝের দিকে ওই নমুনাকে নষ্ট করে ফেলে। পরে এখানে একটি ছোট স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু অবহেলায় অযত্নে এখনও উল্লেখযোগ্য বধ্যভূমি হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয় নি।