জয়পুরহাট স্মৃতিসৌধ
বাংলাদেশের জয়পুরহাট শহরের কেন্দ্রস্থলে,
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদের উদ্দেশ্যে নির্মিত স্মৃতিসৌধ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৪শ এপ্রিল, পাকসেনারা গভীর রাতে বগুড়ার
সান্তাহার থেকে ট্রেনযোগে, তৎকালীন মহকুমা শহর জয়পুরহাটে এসে পৌঁছায়। ২৫শে
এপ্রিল থেকে পাকসেনারা জয়পুরহাট শহর এবং এর পার্শ্বর্তী অঞ্চলে ব্যাক অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ আর নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ
শুরু করে। বিভিন্ন জায়গা থেকে ধরে এনে প্রায় ১০
হাজারের বেশি মানুষকে ব্যানট দিয়ে খুঁচিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় জয়পুরহাটের
পাগলা দেওয়ানে। এছাড়াও
কড়ই কাদিপুর গ্রামে ৩শ ৭১ জন মৃৎ শিল্পীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এখানে একটি বদ্ধভূমি রয়েছে।
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে ২৬শে জুলাই ডা. আবুল কাশেমকে গুলি করে হত্যা করা হয়। স্বাধীনতার
পরে তার নামানুসারে জয়পুরহাটের কেন্দ্রে অবস্থিত মাঠটির নামকরণ করা হয় 'শহিদ ডাক্তার আবুল কাশেম
ময়দান'। এই ময়দানে
মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের স্মরণে, ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে নির্মাণ করা হয়েছে জয়পুরহাট স্মৃতি সৌধ।
মৃক্তিযুদ্ধের বছর ১৯৭১-এর সঙ্গে মিল রেখে স্মৃতিসৌধের উচ্চতা করা হয়েছে ৭১ ফুট।