প্রতিরোধ স্তম্ভ
বাংলাদেশের
নারায়ণগঞ্জের মাসদাইর-এ স্থাপিত প্রতিরোধ স্তম্ভ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে মার্চ দিবাগত রাত্রে পাকবাহিনী ঢাকা মহানগরে
অপারেশন সার্চ লাইট শুরু করে। এই সময় ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কমান্ডার সিরাজুল
ইসলামের (পরবর্তীতে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন) নেতৃত্বে জেলার মালখানা ভেঙ্গে
সরকরী অস্ত্রাগার লুট করে। এই সময় নারায়ণগঞ্জে প্রতিরো ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করে আব্দুস সাত্তার মরন, সামিউল্লাহ মিলন, মোহর আলী চৌধুরী, মোহাম্মদ আলী
(এফবিসিসিআই নেতা), জানে আলম, আব্দুল আজিজ, আজহার হোসেন, প্রয়াত চিত্র নায়ক আদিলসহ
আরো অনেক ছিল।
প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে এরা রাস্তার পাশে গাছ কেটে সড়কের উপর ফেলে রাখেন। এছাড়া
চাষাড়া ওয়াগন এনে ২ নম্বর গেটে বেরিকেট তৈরি করে। ২৭শে মার্চ পাকবাহিনী নারায়ণগঞ্জে
প্রবেশের চেষ্টা করে। এই সময় পাকবাহিনীর সাথে প্রতিরোধ বাহিনীর সারাদিন যুদ্ধ চলে।
এবং শেষ পর্যন্ত পাক সেনারা ঢাকায় ফিরে যায়। এই যুদ্ধে দুইজন পাকসেনা এবং প্রায় ১০
জন প্রতিরোধকারীর মৃত্যু হয়।
২৭শে মার্চ পাকবাহিনী ভারি অস্ত্র নিয়ে নারায়ণগঞ্জ আক্রমণ করে। এবারে পাকবাহিনী
ফতুল্লা এবং পঞ্চবটিতে প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়। এই বাধা অতিক্রম করে পাকবাহিনী
মাসইদ এলাকায় তীব্র প্রতিরোধ করে। এই সময় এলাকার অধিবাসীদের নিরাপদ স্থানে পালিয়ে
যাওয়ার জন্য প্রচার শুরু করে। এক সময় প্রতিরক্ষা বাহিনীর গুলি ফুরিয়ে গেলে,
প্রতিরক্ষা বাহিনী নারায়ণগঞ্জ ত্যাগ করে। এরপর ২৮শে মার্চ পাকবাহিনী নারায়ণগঞ্জ
শহরে ঢুকে ব্যাপক হত্যা ও অগ্নিসংযোগ করে।
বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর, মাসদাইর-এ একটি প্রতিরোধ স্তম্ভ তৈরি করে। এই স্তম্ভটির
শিল্পী মৃণাল হক।