বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি
রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত বাংলাদেশের জাতীয় সংস্কৃতি কেন্দ্র।
জাতীয় সংস্কৃতির গৌরবময় বিকাশকে অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যে, স্বাধীনতাপূর্ব পাকিস্তান আর্ট কাউন্সিলকে- বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী
হিসেবে স্থাপিত হয়। এই কারণে, ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ ফেব্রুয়ারি 'বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী আইন ১৯৭৪ (১৯৭৪ সালের আইন নং ৩১)'
নামে একটি বিশেষ আইন
প্রণয়ন করা হয়। এই আইন অনুসারে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। একাডেমির প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন ড. মুস্তাফা নূরউল ইসলাম।
এর প্রশাসনিক স্বত্বাধিকারী সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে শিল্পকলা একাডেমী আইন সংশোধিত হয়। বর্তমানে এই আইনটি 'বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী আইন, ১৯৮৯' নামে অভিহিত হয়ে থাকে।
বাংলাদেশে শিল্পকলার একাডেমির ঢাকাস্থ কার্যক্রম শুরু হয় ঢাকার
রমনায় সেগুনবাগিচা এলাকা। সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিস্তৃত করার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর ব্যতীত দেশের
৬৪টি জেলায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর তত্ত্বাবধানে জেলা শিল্পকলা একাডেমীসমূহ একটি "কার্য
নির্বাহী" কমিটি কর্তৃক পরিচালিত হয়। জেলা প্রশাসক পদাধিকার বলে উক্ত কমিটির সভাপতি
হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রত্যেক জেলায় একজন কালচারাল অফিসার রয়েছেন, যিনি
জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন।
বর্তমানে
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কার্যক্রমে রয়েছে ৬টি বিষয়ভিত্তিক বিভাগ। এগুলো হলো-
- চারুকলা বিভাগ
- নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগ
- সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগ
- গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগ
- প্রশিক্ষণ বিভাগ
- প্রযোজনা বিভাগ
সূত্র :