আগৈলঝাড়া
বরিশাল জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
এর আয়তন ১৬১.৮২ বর্গ কিমি। উত্তর ও পূর্বে গৌরনদী উপজেলা, দক্ষিণে উজিরপুর উপজেলা,
পশ্চিমে কোটালিপাড়া উপজেলা। অবস্থান ২২.৯৬৬৬৬৬৭ ডিগ্রি উত্তর ৯০.১৫ ডিগ্রি
পূর্ব।
আগৈলঝড়া বরিশালের একটি থানা ছিল। পরে
গৌরনদী উপজেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল।
১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে
আগৈলঝাড়া থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা
হয়। এই উপজেলাগুলো হলো −
রাজিহার, বাকল, বাগধা, গৈলা ও রত্নপুর।
জেলার প্রধান নদী: বিশারকান্দি, পয়সারহাট। ধোপারপাড়া বিল উল্লেখযোগ্য।
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের
আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের কেতনার বিলে শত শত লোকজনকে পাকসেনারা নির্মমভাবে
গুলি করে হত্যা করে। এ অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধে হেমায়েত বাহিনীর সৈনিকরা ছিল বিচক্ষণ
ও সাহসী। কোটালীপাড়া নিবাসী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হেমায়েত উদ্দিনের নেতৃত্ব এ
অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করা হয়। পরবর্তীতে হোসনাবাদের নিজামুদ্দিন আকনের
নেতৃত্ব ৬৫ জন মুক্তিবাহিনী ভারত থেকে প্রশিক্ষণের পর গৌরনদীতে এসে মুক্তিযুদ্ধে
অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে মুজিববাহিনীর নেতৃত্ব দেন আবুল হাসানাত আবদুল্লা
(সাবেক চীফ হুইপ) তার সহযোগী ছিলেন হাফেজ মাঝি, আঃ রকিব সেরনিয়াবাত, শাহ আলম
তালুকদার ও মোঃ নুরুল ইসলাম মিয়া। ডিসেম্বর মাসে মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণ
বরিশাল জেলার বিভিন্ন অঞ্চল মুক্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আগৈলঝাড়া মুক্ত হয়।