ওমো কিবিশ
Omo Kibish
ইথিওপিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ওমো নদীর তীরে অবস্থিত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান।
উল্লেখ্য, ইথিওপিয়ার গ্রেট রিফট ভ্যালির ওমো ভ্যালির অংশে
এটি অবস্থিত।
এখানকার ভূতাত্ত্বিক স্তরগুলো প্লাইস্টোসিন যুগের, অর্থাৎ
২৫ লক্ষ ৮০ হাজার বছর থেকে ১১,৭০০ বছর পূর্বের। প্রত্বতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে
এখানে পাওয়া গেছে হ্রদ, নদী ও আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের স্তর।
 |
|
১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দের
প্রাপ্ত
ওমো আই-এর জীবাশ্ম |
১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দের কেনিয়ান প্রত্নতাত্ত্বিক কামোয়া কিমেউ
(Kamoya Kimeu)
এর নেতৃত্বে রিচার্ড লিকির
(Richard Leakey)
আন্তর্জাতিক দল এখানে খননকার্য শুরু করে এবং দুটি প্রধান জীবাশ্ম আবিষ্কার করে।
এগুলো ওমো I এবং ওমো II।
পরবর্তী সময়ে ২০০১-২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে পাওয়া যায়, ওমো III সহ অন্যান্য অবশেষ পাওয়া যায়।
এগুলোর আনুমানিক বয়স- ২৩৩,০০০ ± ২২,০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। প্রায় ৩০০ টুকরোর মতো পাথরের সরঞ্জাম, যার মধ্যে লেভালোয়
(Levallois)
কোর অন্তর্ভুক্ত।
১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দের আবিষ্কার:
- ওমো I: একটি প্রায় সম্পূর্ণ খুলি। উঁচু কপাল, গোলাকার,
অর্থাৎ আধুনিক মানুষের মতো।
এতে ছিল ভ্রূর চিহ্ন এবং চিবুক। মস্তিষ্কের মাপ ১,৪০০ সিসি (আধুনিক মানুষের গড় ১,৩৫০ সিসি)।
নিম্ন চোয়াল, দাঁতের আকার আধুনিক মানুষের মতো ছোট; থার্ড মোলার
(wisdom tooth)th)
উপস্থিত কিন্তু ছোট।
দাঁতের পরিধান নির্দেশ করে যে এরা শক্ত উদ্ভিদ বা মাংস খেত।
উরুর হাড় (ফিমার, টিবিয়া) লম্বা ও সরু, যা দ্বিপদে চলাচলের উন্নত রূপ নির্দেশ করে।
উচ্চতা অনুমান: পুরুষ প্রায় ১.৭-১.৮ মিটার।
দাঁতের আকার আধুনিক মানুষের মতো ছোট; থার্ড মোলার
(wisdom tooth)
উপস্থিত কিন্তু ছোট।
দাঁতের পরিধান (dental wear)
নির্দেশ করে যে এরা শক্ত উদ্ভিদ বা মাংস খেত।
- ওমো II: খুলি বেশি
আদিম প্রকৃতির। নিম্ন ক্র্যানিয়াল ভল্ট, বড় ভ্রু-রিজ, পুরু খুলির হাড়।
একটি খুলি যা বেশিরভাগাই ভাঙা এবং প্রিমিটিভ বৈশিষ্ট্যযুক্ত।
২০০০-এর দশকে আরও হাড় ও দাঁত পাওয়া যায়, যা ওমো I-এর সাথে যুক্ত।
পাথরের সরঞ্জাম: প্রায় ৩০০ টুকরোর মতো পাথরের সরঞ্জাম, যার মধ্যে লেভালোয় কোর (কোথা থেকে ধারালো ফলক তৈরি করা হয়) অন্তর্ভুক্ত।
পশুর হাড়: পাখি ও বোভিড- যেমন গরু, ভেড়া, ছাগল) সহ বিভিন্ন মেরুদণ্ডী প্রাণীর জীবাশ্ম পাওয়া গেছে।