কৃষ্ণা (নদী)
ভারতের অন্যতম দীর্ঘ নদী। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৩০০ কিমি। এর অপরনাম কৃষ্ণাবেণী।
এই নদীটি মধ্যভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের মহাবালেশ্বর-এর নিকটবর্তী অঞ্চলে দুটি
প্রধানজলধারা কৃষ্ণা নামে প্রবাহিত হয়ে জোর গ্রামের কাছে মিলিত হয়েছে। এই মিলিত
স্রোতধারা কৃষ্ণা নামে প্রায় ১৩০০ মিটার উচ্চস্থল থেকে, পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে
অগ্রসর হয়েছে। মহারাষ্ট্রে ওয়াই অঞ্চলে এই নদীতে বাঁধ দেওয়া নদীটি একটি বৃহৎ হ্রদের
আকার ধারণ করেছে। এই হ্রদটি ধোম হ্রদ নামে পরিচিতি লাভ করেছে। এরপর নদীটি পূর্ব
দিকে প্রবাহিত হয়ে কয়না নদীর সাথে মিলিত হয়ে কৃষ্ণা নামে পূর্বদিকে অগ্রসর হয়েছে।
এর দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এঁকেবেঁকে হরিপুর গ্রামপঞ্চায়েতের কাছে ওয়ারানা নদীর সাথে
মিলিত হয়েছে। এই মিলিত স্রোত কৃষ্ণা নামে দক্ষিণ-পূর্বদিকে অগ্রস্রর হয়ে পঞ্চগঙ্গা
নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। এই মিলিতস্রোত পুনরায় কৃষ্ণা নামে অগ্রসর হয়েছে। চলার পথে
এর সাথে যুক্ত হয়েছে অগ্রণী নদী। এরপর এর সাথে যুক্ত হয়েছে ভীমা, তুঙ্গাভদ্রা,
মুসি, মুন্নেরু। শেষ পর্যন্ত অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের হংসলাঢিবি গ্রামের কাছে
বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
কৃষ্ণা অববাহিকার ব্যাপ্তি ২৫৮,৯৪৮ বর্গকিমি, যা সারা ভারতের প্রায় ৮% স্থান দখল
করে। এই অববাহিকার ১১৩,২৭২ বর্গকিমি আছে কর্ণাটকে, ৭৬,২৫১ বর্গকিমি আছে
অন্ধ্রপ্রদেশে, বাকি ৬৯,৪২৫ বর্গকিমি আছে মহারাষ্ট্রে। এর বেশিরভাগ মালভূমি আর
সমতলভূমি। তবে এর পশ্চিমপ্রান্তে রয়েছে অবিচ্ছিন্ন পশ্চিমঘাট পর্বতমালা।
কৃষ্ণা নদীর তীরে অবস্থিত উল্লেখযোগ্য ধর্মস্থান আছে মহারাষ্ট্রের নরসোবা ওয়াদিতে
দত্তাদেব মন্দির, হরিপুরের সঙ্গমেশ্বর শিবমন্দির এবং সাংলির রামলিঙ্গ মন্দির।
কর্ণাটকের বাগলকোটের কাছে অবস্থিত কুদালাসঙ্গমে আছে বাসবেশ্বরের মূর্তি।
বিজয়ওয়াদার ইন্দ্রলক্ষী পাহাড়ে আছে কনকদুর্গার মন্দির।