দ্রাঘিমা রেখার প্রতিটি বিন্দু বিষুব রেখার সাথে যে কোণ উৎপন্ন করে, তার পরিমাপ হলো দ্রাঘিমাংশ। একথাও বলা যায়, দ্রাঘিমাংশগুলো নিয়ে যে মেরুস্পর্শী রেখা তৈরি হয়, তাকে দ্রাঘিমাংশ রেখা বা দ্রাঘিমা রেখা বলা যায়।
ইংল্যাণ্ডের গ্রিনউইচের রাজকীয় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রকে স্পর্শ করে যে রেখাটি কল্পনা করা হয়েছে, তার মান ধরা হয় ০ ডিগ্রি। এই রেখাকে প্রামাণ্য দ্রাঘিমা রেখা হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এই স্থানের সময় মানকে বলা হয় গ্রিনউইচ মান সময়।
গণিত শাস্ত্রে পূর্ণবৃত্তের গাণিতিক মান ধরা হয় ৩৬০ ডিগ্রি। প্রতিটি মিনিট ৬০ মিনিটে বিভক্ত এবং প্রতিটি মিনিট আবার ৬০ সেকেন্ডে বিভক্ত। এই গাণিতিক নিয়মানুসারে দ্রাঘিমাংশের সূক্ষ্ম বিচার করা হয়। প্রামাণ্য দ্রাঘিমা রেখা থেকে কোনো স্থান পূর্ব বা পশ্চিমে অবস্থান করে। এই কারণে দ্রাঘিমাংশের গাণিতিক মানের সাথে পূর্ব বা পশ্চিম শব্দ যুক্ত করা হয়। অক্ষাংশের ক্ষেত্রে দিক হিসেবে বসে উত্তর বা দক্ষিণ। এই উত্তর-দক্ষিণ নির্ধারিত হয় বিষুবরেখার বিচারে। কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় করা হয়, অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশের মানের বিচারে। যেমন- ঢাকার অক্ষাংশ ২৩°৪২′০″ উত্তর এবং দ্রাঘিমাংশ ৯০°২২′ ৩০″ পূর্ব (২৩°৪২′ ০″ উত্তর ৯০°২২′ ৩০″ পূর্ব)।