আ
(অব্যয়)
বিবিধ ভাব প্রকাশে আ'
বিচিত্রভাবে ব্যবহৃত হয়।
যেমন-
আনন্দ : মোদের গরব মোদের আশা, আ
মরি বাংলাভাষা !
খেদ, বিষাদ :
আ- এই হতভাগিনীর মৃত্যু নাই
ঘৃণা :
আ- এ বড় কুস্থান।
প্রশংসা : আ মরি !
কী শাভা !
বিদ্রুপ, বিরক্তি : আ মরণ আর কি !
লজ্জা : আ মরে যাই, কী লজ্জার কথা
সপ্রণয় গালি : আ মলো- মুখপুড়ী,
কী আমার সাহাগী।
সুখবোধ :
আ কী আরাম !
স্বস্তি : আ বাঁচা
গল।
স্মরণ : আ তাই বটে।
হতাশা : আ- এই বন্যায় এবার বুঝি আর
বাঁচি না।
আ
(উপসর্গ)
অর্থ প্রকাশে উপসর্গ হিসাবে আ ব্যবহৃত হয়।
যেমন-
অনুচিত : আকথা।
অভাব :
আকাল (দুর্ভিক্ষ অর্থে,
যেমন- আকালের দিন)।
এরূপ : আতেলা, আদেখা
অভিমুখে : আকর্ষণ।
অসম্পূর্ণ : আভাজা (আভাজা তরকারী)।
এরূপ :
আপোড়া।
ঈষৎ : আনত (আনত শির)।
নঞ্র্থক : আলুনী (আলুনী তরকারী)।
এরূপ :
আঘাটা, আছোলা,
আধোয়া।
বিপরীত :
আগমন (গমনের বিপরীত।
অর্থাৎ আসা)।
সমগ্র :
আজীবন (আজীবন সেবা)।
এরূপ :
আকণ্ঠ, আজন্ম,
আশৈশব।
সাদৃশ্য : আকাট (আকাট মূর্খ)।