অব্যয়ীভাব সমাস

বাংলা ও সংস্কৃত ব্যাকরণে বর্ণিত সমাস বিশেষ। পাণিনি ব্যাকরণ থেকে এই সূত্র বাংলাতে গৃহীত হয়েছে।
 

সাধারণভাবে বলা যায়- পূর্বপদে অব্যয়যোগে নিষ্পন্ন সমাসে যদি অব্যয়েরই অর্থের প্রাধান্য থাকে, তবে তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। সুনীতি চট্টোপাধ্যায় এই সমাসকে প্রাদি সমাসের পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য- এই সমাসের শুরুতে অব্যয় থাকে। তবে সকল ক্ষেত্রে অব্যয়ের অর্থটি প্রাধান্য পায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে উপসর্গবাচক অব্যয় ব্যবহৃত হয়।

অর্থের বিচারে অব্যয়ীভাব সমাসকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমন-

বীপ্সা অর্থে অব্যয়ীভাব হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে কোনো শব্দ দুই বার ব্যবহৃত হয়ে সমাসবদ্ধ পদ তৈরি করে। এক্ষেত্রে শব্দের পূর্ব অব্যয় যুক্ত হয়। যেমন-