ব্যাকরণে বর্ণিত পদের একটি
রূপ। কোন ব্যক্তি বা বস্তু বা বিষয় বিদ্যমান থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে
কোন কাজ সম্পন্ন করে বা করায়, তাকে কর্তা বলা হয়। বাক্যে কর্তার সাথে প্রত্যক্ষভাবে
ক্রিয়াপদের সম্পর্ক থাকে। বাক্যে কর্তা কিভাবে উপস্থিত থাকে তার উপর নির্ভর করে,
একে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়। ভাগগুলি হলো-
১. স্বয়ং নিষ্পন্ন কর্তা :
যেখানে কর্তা নিজেই কোনো কাজ করে। যেমন— সে খায়, পাখি উড়ে। এখানে
'সে', 'পাখি'
স্বয়ং-নিষ্পন্ন কর্তা।
২. প্রযোজক কর্তা : কোনো ক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার
সময়, যখন কর্তা
পরোক্ষভাবে উপস্থিত থাকে এবং অন্যকে দিয়ে সেই কাজ সম্পন্ন করায়, তখন ওই কর্তা
প্রযোজক হিসাবে প্রতীয়মান হয়। যেমন— শিক্ষক ছাত্রকে পড়ান।
এখানে ছাত্রই পড়ে, আর শিক্ষক সে পড়ানোর কাজটিকে প্রযোজিত করে। এখানে 'শিক্ষক' প্রযোজক
কর্তা।
৩. প্রতীয়মান কর্তা : যেখানে কর্তা অকর্তৃক ক্রিয়া সাথে সম্পর্কযুক্ত
থাকে, তাকে প্রতীয়মান কর্তা বলা হয়। যেমন—
শীত করছে। এই বাক্যে কর্তা অনুপস্থিত। এখানে শীত করছে বাক্যটিতে অকর্তৃক ক্রিয়া। এই
জাতীয় বাক্যে যদি কর্তা যুক্ত হয়, তাহলে বাক্যগুলো হবে—
'তার
শীত করছে', 'আমার শীত করছে', 'নাসিমার শীত করছে' ইত্যাদি। এই জাতীয় কর্তা
(প্রচ্ছন্ন দশায় থেকে), অকর্তৃক
ক্রিয়ার সাথে সম্বন্ধ স্থাপন করে নিজেকে প্রকাশ করে। এই বিচারে একে প্রতীয়মান কর্তা
বলা হয়।
৪.
সম্বন্ধবাচক কর্তা : যেখানে কোনো কর্তা অন্য কোনো শব্দের সাথে মিশে গিয়ে একটি
একক সত্তায় পরিণত হয় এবং তা বাক্যে কর্তা হিসাবে কাজ করে। যেমন—
রাজার ছেলে
বাড়ি যায়।
এখানে রাজা এবং ছেলে দুটি শব্দ, আর সম্বন্ধবাচক পদ হলো— 'রাজার ছেলে'।
এই বাক্যে 'রাজার ছেলে' শব্দটি কর্তায় পরিণত হয়েছে।