মাটির ৮.৫ মিটার গভীর থেকে প্রাপ্ত পাত্র। এর গায়ে আঁকা রয়েছে ভিনকা চিহ্নি।

ভিনকা সভ্যতা
খ্রিষ্টপূর্ব ৬ষ্ঠ- ৫ম সহাস্রাব্দে দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডের আশপাশের অঞ্চলে গড়ে উঠা একটি সভ্যতা।


১৮৭৫ খ্রিষ্টাব্দে হাঙ্গেরিয়ার প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষক
Zsófia Torma (1840–1899) রোমানিয়ার টোর্ডোস অঞ্চলে কিছু প্রতীক অঙ্কিত পাত্র পান। তিনি এই প্রতীকগুলোর অর্থ উদ্ধার করতে না পারলেও অনুমান করেছিলেন যে, এগুলোর কোনো অর্থ আছে। ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দে টোর্ডোস থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে বেলগ্রেডের কাছে, Miloje Vasic (1869–1956)  এই জাতীয় আরও কিছু নমুনা পান। বেলগ্রেডের অপর একটি অংশ বান্‌জিকা-তেই এরূপ আরও কিছু  নমুনা পান। বেলগ্রেডের আশেপাশের বিস্তৃর্ণ অঞ্চলে এই জাতীয় বহু নমুনা পাওয়া গেছে। এই সকল নমুনার প্রাপ্তি স্থান অনুসারে ধারণা করা হয়, বেলগ্রেড-এর আশপাশের একটি বিশাল অংশ জুড়ে একটি প্রাচীন সভ্যতা গড়ে উঠছিল। বর্তমানে এদেরকে একত্রে ভিন্‌কা সভ্যতা বলা হয়।

 

ভিন্‌কা প্রতীকসমূহ
ইংরেজি : Vinča symbols, Vinča signs, Vinča script, Vinča-Turdaş script, Old European script

 

খ্রিষ্টপূর্ব ৬ষ্ঠ- ৫ম সহাস্রাব্দে দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের ভিনকা সভ্যতায় ব্যবহৃত প্রতীকসমূহের সাধারণ নাম।

 

ভিন্‌কা প্রতীকসমূহ

এই চিহ্নগুলোকে প্রাগ্‌-লিখন পদ্ধতির নমুনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। সম্ভবত ভিনকা সভ্যতায় এইসব প্রতীক ব্যবহৃত হতো বার্তা পাঠানোর জন্য। এই বিচারে এগুলোকে বলা যায় সঙ্কেতিক বার্তাচিহ্ন। এই চিহ্নসমূহ দ্বারা এই সভ্যতার মানুষ তাদের ব্যবহৃত ভাষাকে লিখিত আকারে প্রকাশ করতে পারতো না।

 

ভাষাবিজ্ঞানীরা মনে করেন যে, এই চিহ্নগুলো ছিল প্রকৃত লিপি উদ্ভাবনের প্রাথমিক স্তর। আর এই চিহ্নকরণ এবং তা ব্যবহারের রীতিকে বলা হয় প্রাগ্-লিখন পদ্ধতি।


সূত্র :
http://en.wikipedia.org/wiki/Vin%C4%8Da_symbols