বাউলাঙ্গ
বাউল নামক লোকসঙ্গীতের ছায়া যে সকল
গানে, পাওয়া যায় তাকেই বাউলাঙ্গের গান বলা হয়। বাউল গানের ছায়া বলতে মূলত এর সুরের
ছায়াকে বলা হয়। বাণীর বিচারে বাউল দর্শন কোনো গানে থাকলেও যদি তার সুর ধ্রুপদের ঢঙে
বাঁধা হয়, তাহলে তখন আর তাকে বাউলাঙ্গ বলা যায় না। রাগরূপের মতই বাউল গানের সুরের
একটি রূপ রয়েছে। সুরের এই রূপ অনুভবের। যে কোনো বিষয়ের গানে যখন এই রূপের অনুভবটা
জেগে উঠে, তখন তাকে বাউলাঙ্গের গান বলা হয়।
বাউল গান বিশুদ্ধ বাংলা লোকগান। ভাবের বিচারে এর গভীরতা যাই থাকে, সুরের বিচারে
সরল। সুরের এই সারল্যের জন্য গানের ভাবকে পল্লীর সাধারণ শ্রোতারাও অনুভব করতে পারে।
এই সুরের আদলে রবীন্দ্রনাথ এবং অন্যান্য নাগরিক গীতিকাররা যে গান রচনা করেছেন, তাকে
বাউলাঙ্গের গান বলা হয়।