ীয় সঙ্গীতশাস্ত্রের একটি পারিভাষিক শব্দ।
যে কোন সঙ্গীতোপযোগী ধ্বনি স্কেল বা স্বরাষ্টকের ব্যবহারিক উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত
হয়, তখন স্বর হিসেবে অভিহিত হয়। যেমন স র গ ম প ধ ন ইত্যাদি। প্রতিটি স্বরের রয়েছে
ধ্বনিরঞ্জক গুন। যার দ্বারা স্বরের এই রঞ্জকগুণ বিস্তার লাভ করে, তাকে বলা হয় বর্ণ।
এই কারণেই স্বর ও বর্ণের মধ্যে একটি গুণগত পার্থক্য তৈরি হয়। যেমন: স র গ ম প ধ ন -এর
প্রত্যেকটি স্বর, কিন্তু এর আরোহী রূপ প্রকাশ করার সময় আশ যুক্ত হয়ে হয়ে যায় আরোহী
বর্ণ। কারণ স্বরগুলো তার বদ্ধ দশা থেকে মুক্ত হয়ে বর্ণে পরিণত হয়। আবার একাধিক
স্বরের দ্বারা তৈরি হয় সুর। এক্ষেত্রে সুর আর বর্ণ সমার্থক হয়ে যায়।
সঙ্গীত শাস্ত্রে বর্ণকে প্রধানত চারটি ভাগে ভাগ করা হয়। ভাগ চারটি হলো-
- স্থায়ী বর্ণ: সসস [একই স্বরের ব্যবহার]
- আরোহী বর্ণ:
সরগ [নিম্ন স্বর থেকে ঊর্ধ্ব দিকে গমন]
- অবরোহী বর্ণ: গরস [উচ্চ স্বর থেকে নিম্ন স্বরে গমন]
- সঞ্চারী বর্ণ: সগর [বক্র হিসেবে সরের গমন]
বর্ণের দ্বারা সৃষ্ট অলঙ্কারকে বলা হয় বর্ণালঙ্কার।
তথ্যসূত্র:
- বৃহদ্দেশী। মতঙ্গ। সম্পাদনা রাজ্যেশ্বর মিত্র। সংস্কৃত পুস্তক ভাণ্ডার।
১৯৯২। অধ্যায়: রাগ। পৃষ্ঠা: ১৩৭