ধৈবত
ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে স্বরসপ্তকের ষষ্ঠ স্বর।  সামগানে এর নাম ছিল পঞ্চম বা মন্দ্র স্বর। লৌকিক নাম ধৈবত।  হাতির স্বর (বৃংহতি) থেকে এই স্বরের নাম গ্রহণ করা হয়েছিল। এই স্বরটির অবস্থান তিনটি শ্রুতিতে। এই শ্রুতিগুলো হলো মদন্তী, রোহিণী ও রম্যা। আধুনিক পণ্ডিতদের মতে, ধৈবতের অবস্থান মদন্তী-তে।
 
শ্রুতি সংখ্যা ও নাম জাতি         সঙ্গীতপারিজাত  সঙ্গীতরত্নাকর প্রচলিত স্বর
১৮. মদন্তী করুণা পূর্ব ধৈবত অতি কোমল ধৈবত
১৯. রোহিণী আয়তা কোমল ধৈবত তীব্র ধৈবত
২০. রম্যা মধ্যা  ধৈবত/পূর্ব নিষাদ  শুদ্ধ ধৈবত শুদ্ধ ধৈবত
২১. উগ্রা  দীপ্তা  তীব্র ধৈবত বা কোমল নিষাদ তীব্র ধৈবত


মতঙ্গমুনি তাঁর বৃহদ্দেশী গ্রন্থে স্বরে নামগুলোর উৎস হিসেবে কোহলের মত উদ্ধৃত করে বলেছেন। এও মতে ভেক তথা ব্যাঙের ডাক অনুসারে ধৈবতের নামকরণ করাহয়েছিল।

ষড়জং বদতি ময়ুর ঋষভং চাতকো বদেৎ             
অজা বদতি গান্ধারং ক্রৌঞ্চো বদতি মধ্যমম
পুষ্পসাধারণে কালে কোকিল: পঞ্চমং বদেৎ।
 প্রাবৃট্‌কালে ভূ সম্প্রাপ্তে ধৈবতং দর্দুরী বদেৎ॥
সর্বদা চ তথা দেবি ! নিষাদং বদতি গজঃ॥

অর্থাৎ ময়ূর ষড়জ স্বর, চাতক ঋষভ স্বর, ছাগ গান্ধার স্বর, সারস মধ্যম স্বর, বসন্তকালে কোকিল পঞ্চম স্বর, বর্ষাকালে ভেক ধৈবত স্বর এবং হস্তি নিষাদ স্বর উচ্চারণ করে।


তথ্যসূত্র: