গান্ধর্ব তালের ক্রিয়াকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। এই ভাগ দুটি হলো- সশব্দ ক্রিয়া
ও নিঃশব্দ ক্রিয়া।সশব্দ ক্রিয়া:শব্দের
দ্বারা তালের প্রকাশ করার প্রক্রিয়াকে বলা হয়েছে সশব্দ ক্রিয়া। তুড়ি এবং তালির
দ্বারা সশব্দ ক্রিয়া প্রকাশ করা হতো। সশব্দ ক্রিয়া চার প্রকার। যথা-
- ধ্রুব: ডান হাতে তুড়ি দিয়ে হাত নিচে ফেলা
- শম্যা:
বাম হাত দিয়ে ডান হাতে তালি দেওয়া
- তাল:ডান
হাত দিয়ে বাম হাতে তালি দেওয়া
- সংনিপাত:
উভয় হাতে নমস্কারে ভঙ্গিতে তালি দেওয়া
নিঃশব্দ ক্রিয়া:শব্দ
সৃষ্টি না করে হাতের সঙ্কেতের মাধ্যমে তাল প্রকাশের প্রক্রিয়া। হতো। নিঃশব্দ ক্রিয়া
চার প্রকার। যথা
- আবাপ:ডান
হাত উঠিয়ে আল্গাভাবে মুঠো করা
- নিষ্ক্রাম:আবাপ অবস্থায় ডান হাতের চেটো নিম্নমুখি করে, আঙ্গুলগুলো ছড়িয়ে দেওয়া
- বিক্ষেপ:নিষ্ক্রাম অবস্থায় ডান হাতের আঙ্গুল গুলো ডান দিকে ছুড়ে দেওয়ার ভঙ্গি
করা
- প্রবেশক: বিক্ষেপ অবস্থায় ডান হাত আলগাভাবে মুঠি করা
তথ্যসূত্র:
- ভরত
নাট্যশাস্ত্র (চতুর্থ খণ্ড)। ড. সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডং ছন্দ চক্রবর্তী
কর্তৃক অনূদিত। নবপ্রকাশ প্রকাশন। ডিসেম্বর ২০১৪।
-
ভারতীয় সংগীত ইতিহাস ও পদ্ধতি। সুকুমার রায়। ফার্মা কে.এল.
মুখোপাধ্যায়। কলকাতা- ১৯৭৫।
- ভারতীয় সঙ্গীতের ইতিহাস (প্রথম,
দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভাগ)। স্বামী
প্রজ্ঞানানন্দ। রামকৃষ্ণ বেদান্ত মঠ। শ্রাবণ ১৩৯৪।
-
সঙ্গীতরত্নাকর। শার্ঙ্গদেব। অনুবাদ সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। রবীন্দ্রভারতী
বিশ্ববিদ্যালয়। জ্যৈষ্ঠ ১৩৭৯।