গৌড়িকা
নামান্তর গৌড়া।
উত্তর ভারতীয়
সঙ্গীত পদ্ধতিতে
গীত বিশেষ। খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে মতঙ্গের রচিত
বৃহদ্দেশী গ্রন্থের রাগ অধ্যায়ে সপ্তগীতের ভিতরে
গৌড়িকা বা গৌড়াকে ধরা হয়েছিল। এই রাগে ব্যবহৃত হতো ওহালী এবং লালিতা নামক বিশেষ
ক্রিয়াত্মক অংশ। উল্লেখ্য চিবুক বক্ষে স্থাপন করে মন্দ্র ধ্বনি হিসেবে হ-কার বা ও-কার
ধ্বনি সৃষ্টি করার প্রক্রিয়াকে বলা হয়েছে ওহালী। এই সময় দ্রুত এবং দ্রুততরে এই ধ্বনি
উপস্থাপন করা হতো। তবে এইভাবে ধ্বনি সৃষ্টির ক্ষেত্রে লালিত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হতো।
এই গীতের আরোহণ বা অবরোহণে ত্রিস্থানে (মন্দ্র, মধ্য, তার) সঙ্গীতোপযোগী ধ্বনি
হিসেবে ওহালী প্রকাশ করা হতো।
এই গীত থেকে উৎপন্ন হয়েছিল- গৌড়কৈশিকমধ্যম, গৌড়কৈশিক এবং
গৌড়পঞ্চম। বৃহদ্দেশীতে এই তিনটি রাগের উল্লেখ ছিল না। এদের বিবরণ পাওয়া যায়
শার্ঙ্গদেবের রচিত সঙ্গীতরত্নাকরে।
তথ্যসূত্র:
- সঙ্গীত পারিজাত। অহোবল। ৩৬৬-৩৬৭।
- রাগ বিজ্ঞান অভিধান। প্রগ্রেসিভ পাবলিশার্স। কলকাতা।
রাগ সংখ্যা: ৪৯৩-৪৯৪। পৃষ্ঠা: ৩১। রাগ সংখ্যা ৭৮৩। পৃষ্ঠা: ৪৬