ভারতীয় সঙ্গীতে তালের গতিকে লয় বলা হয়। মূলতঃ তালের অন্তর্গত প্রতি দুটি মাত্রার মধ্যবর্তী সময়কেই কাল বলে। এই মাত্রাদ্বয়ের মধ্যবর্তী কালের স্থিতিকালের উপর নির্ভর করে লয়ের শ্রেণি-বিভাগ করা হয়েছে। ধরা যাক দুটি মাত্রার মধ্যবর্তীকাল যদি ৪ সেকেণ্ড হয়- তবে লয় বিভাজন নিম্নরূপ হবে—
৪ সেকেণ্ডে— বিলম্বিত লয়
২ সেকেণ্ডে— ঈষৎ বিলম্বিত লয়
১ সেকেণ্ডে— মধ্য লয়
১/২সেকেণ্ডে— ঈষৎ দ্রুত লয়
১/৪সেকেণ্ডে— দ্রুত লয়
১/৮সেকেণ্ডে— অতি দ্রুত লয়।
এছাড়া কোন নির্দিষ্ট লয়ের মধ্যে থেকেও পরিবেশনের ক্ষেত্রে লয়ের গতিকে হ্রাস-বৃদ্ধি
করা সম্ভব।
ধরা যাক, ১ সেকেণ্ড পরিমিত একটি লয় গ্রহণ করা হলো। অর্থৎ
প্রতি ১ সেকেণ্ড
পর পর একটি করে মাত্রা যাবে। এইক্ষেত্রে পরিবেশনকারী নিম্নরূপ সূত্রে অগ্রসর হবে—
১ ২ ৩ ৪ ৫ ৬ ৭ ৮
সা রা গা মা পা ধা না র্সা
কিন্তু পরিবেশনকারী যদি উক্ত মাত্রাকালের মধ্যে দুটি করে স্বর উচ্চারণ করে, তবে তা দ্বিগুণ লয়ের পরিবেশনা হিসাবে বিবেচিত হবে। আর এর রূপটি হবে নিম্নরূপ-
১ ২ ৩ ৪ ৫ ৬ ৭ ৮
সরা গমা পধা নর্সা সরা গমা পধা নর্সা
এইরূপ লয়ের নামও ভিন্ন। যেমন :
১। লয়ের সমান সময়ে পরিবেশিত হলে তাকে বলে বরাবর লয় বলে।
২। লয়ের সমান সময়ের মধ্যে সোয়া বার পরিবেশিত হলে তাকে কু-আড় লয় বলে।
৩। লয়ের সমান সময়ের মধ্যে দেড় বার পরিবেশিত হলে তাকে আড় লয় বলে।
৪। লয়ের সমান সময়ের মধ্যে দুই বার পরিবেশিত হলে তাকে দ্বিগুণ লয় বলে।
৫। লয়ের সমান সময়ের মধ্যে তিন বার পরিবেশিত হলে তাকে ত্রিগুণ লয় বলে।
৬। লয়ের সমান সময়ের মধ্যে চার বার পরিবেশিত হলে তাকে চৌগুণ লয় বলে।
পাশ্চাত্য সঙ্গীতে লয়কে বলে টেম্পো