মধ্যম
ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে স্বরসপ্তকের চতুর্থ স্বর। এর ব্যবহারিক নাম 'মা'। প্রাচীন ভারতেরর বৈদিক গান বা সামগানে এর নাম ছিল প্রথম। মতঙ্গমুনি তাঁর বৃহদ্দেশী গ্রন্থে স্বরে নামগুলোর উৎস হিসেবে কোহলের মত উদ্ধৃত করে বলেছেন-
                   ষড়জং বদতি ময়ুর ঋষভং চাতকো বদেৎ             
                   অজা বদতি গান্ধারং ক্রৌঞ্চো বদতি মধ্যমম॥
                   পুষ্পসাধারণে কালে কোকিল: পঞ্চমং বদেৎ।
                   সর্বদা চ তথা দেবি ! নিষাদং বদতি গজ॥
 
অর্থাৎ ময়ূর ষড়জ স্বর, চাতক ঋষভ স্বর, ছাগ গান্ধার স্বর, সারস মধ্যম
সারস-এর তুল্য ধ্বনি থেকে এই স্বরের নাম গ্রহণ করা হয়েছিল। এই স্বরটির অবস্থান চারটি শ্রুতিতে।  সঙ্গীতরত্নাকরে প্রীতি শ্রুতিতে চ্যুত গান্ধার উল্লেখ করেছেন। আধুনিককালে একে বলা হয় তীব্র গান্ধার। বর্তমানে মার্জনী, ক্ষিতি, রক্তা ও সন্দিপনী শ্রুতিতে মধ্যমের স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর ভিতরে শুদ্ধ মধ্যমের অবস্থান মার্জনীতে।
 

শ্রুতি সংখ্যা ও নাম জাতি         সঙ্গীতপারিজাত  সঙ্গীতরত্নাকর প্রচলিত স্বর
১২. প্রীতি  মৃদু  তীব্রতম গান্ধার চ্যুত মধ্যম

তীব্র গান্ধার

১৩. মার্জনী  মধ্যা  মধ্যম/অতি তীব্রতম গান্ধার শুদ্ধ মধ্যম শুদ্ধ মধ্যম
১৪. ক্ষিতি মৃদু তীব্র মধ্যম
১৫. রক্তা মধ্যা  তীব্রতর মধ্যম তীব্র মধ্যম
১৬. সন্দীপিনী আয়তা তীব্রতম মধ্যম মধ্যমগ্রামোক্ত বা কৌশিক পঞ্চম তীব্রতর মধ্যম

তথ্যসূত্র: