সাঙ্গীতিক
ধনুক
ইংরেজি:
Musical bow
সঙ্গীতে ব্যবহৃত ধনুকের মতো বাদ্যযন্ত্র। এই জাতীয় যন্ত্রের
ভিত্তি অংশ থাকে ধনুকের মতো বাঁকানো অংশ। ধনুকের দুই প্রান্ত বরাবর তার টেনে বাঁধা
হয়। এর ফলে এই তারে আঘাত করলে- সঙ্গীতোপযোগী ধ্বনি তৈরি হয়। এই যন্ত্র প্রাচীন যুগ
থেকে আফ্রিকার মানুষ ব্যবহার করতো। পরে, দাস ব্যবসার সূত্রে আমেরিকা মহাদেশে এই
বাদ্যযন্ত্রে ব্যবহার শুরু হয়েছিল।
এই যন্ত্রের দেহকাঠামো বা বাঁক অংশটি ১.৫ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত কাঁঠ দিয়ে তৈরি করা
হয়। এর বাদন অংশে থাকে ১টি ধাতব তার। এই যন্ত্র বাজানো হয় হাত বা কাঠের টুকরোর
সাহায্য। এই জাতীয় যন্ত্রকে ২টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। এগুলো হলো-
- মুখ অনুরণক ধনুক:
এই ধনুকে অনুরণন তৈরির জন্য মুখ ব্যবহার করা হয়। এই বাদ্যন্ত্রের বা তারের সাথে
মুখ ধরে রেখে, মুখের নানা ধরনের ধ্বনির উপসুরকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
- তুম্বা-অণুরণক:
এই জাতীয় যন্ত্র উপসুর নিয়ন্ত্রণে তুম্বা ব্যবহার করা হয়। এই তুম্বা হতে পারে
মাটি বা লউয়ের তৈরি। এই বিচারে একে দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। ভাগ দুটি হলো-
- মৃত্তিকা-তুম্বা
অনুরণক
- লাউ-তুম্বা
অনুরণক
ধারণা করা শিকারের ধনুর
অনুরণ শুনে আদিম মানুষ এই বাদ্যযন্ত্র আবিষ্কার করেছিলেন। খ্রিষ্টপূর্ব ১৩০০ অব্দের
দিকে ফ্রান্সের ট্রোইস ফ্রেরের গুহায় অঙ্কিত চিত্রকর্মে সাঙ্গীতিক ধনুকের ছিত্র
পাওয়া যায়।
সূত্র: