সমমেল
harmonic
ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে ব্যবহৃত পারিভাষিক শব্দ।

সঙ্গীত শাস্ত্রে ব্যবহৃত প্রতিটি স্বরের থাকে সবচেয়ে কম কম্পাঙ্কের ধ্বনিকে বলা হয়, মূল সুর। আর এর চেয়ে কম্পাঙ্কের ধ্বনিকগুলোর প্রত্যেকেটি মৌলিক ধ্বনিকে বলা হয় উপসূর। মূল সুর ও উপসুরসমূহের যৌগিক ধ্বনি রূপ যখন স্নিগ্ধ মনোমুগ্ধকর হয়ে ওঠে, তাকে বলা হয় সঙ্গীতোপযোগী ধ্বনি।

আধুনিক সঙ্গীত শাস্ত্রে সাধারণভাবে একটি স্কেলের ভিতরে ১২টি স্বরকে মান্য করা হয়। এর যে কোনো স্বরের মুল সুরে দ্বিগুণ কম্পাঙ্কের ধ্বনি সমমেল তৈরি করে। এক্ষেত্রে উভয় স্বর একই সাথে বাদিত হলে, মানুষের কান উভয় ধ্বনিকে একটি ধ্বনি হিসেবে শুনতে পায়।

ধরা যাক, একটি স্বরের মূল সুর ৪৪০ কম্পাঙ্কের। যদি অন্য স্বরের মূল সুর যদি ৪৪০ এর দ্বগুণ ৮৮০ হয় তাহলে উভয় সুর সমমেল হিসেবে বিবেচনা করা হবে। যদি ৪৪০ কম্পাঙ্কের ধ্বনিকে আমরা সা বলি তাহকে ৮৮০ কম্পাঙ্কের র্সা হবে, সা-এর সমমেল।

আবার ধরা যাক, একটি স্বরের মূলসুরের কম্পাঙ্ক ৪৪০। এর সাথে উপসুর হিসেবে রয়েছে ৫০০ কম্পাঙ্কের একটি ধ্বনি। এই উপসুরের বিচারে ১০০০ কম্পাঙ্কের ধ্বনি হবে ৫০০ কম্পাঙ্কের ধ্বনির সমমেল।