সমমেল
harmonic
ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে ব্যবহৃত পারিভাষিক শব্দ।

সঙ্গীত শাস্ত্রে ব্যবহৃত প্রতিটি স্বরের থাকে একাধিক মৌলিক ধ্বনি। একাধিক মৌলিক ধ্বনি এক সাথে বাদিত হলে- যৌগিক ধ্বনির সৃষ্টি করে। এই যৌগিক ধ্বনির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো- একাধিক কম্পাকের ধ্বনি বা মৌলিক ধ্বনি থাকলেও মানুষ তা শোনে একটি একক ধ্বনি হিসেবে। এই যৌগিক ধ্বনির ভিতরে সবচেয়ে কম কম্পাঙ্কের ধ্বনিকে বলা হয়, মূল সুর। আর এর চেয়ে বেশি কম্পাঙ্কের ধ্বনিকগুলোর প্রত্যেকেটি মৌলিক ধ্বনিকে বলা হয় উপসুর।

একটি যৌগিক ধ্বনির ভিতরে নানা কম্পাঙ্কের ধ্বনি থাকতে পারে। কোনো যৌগিক ভিতরে ধ্বনির মূল ধ্বনির সাথে পূর্ণগুণিতক ধ্বনিগুলো ধ্বনিসাম্য তৈরি করে। সঙ্গীতের ভাষায় এই ধ্বনিসাম্যকে সমমেল বলা হয়।

ধরা যাক, একটি যৌগিক ধ্বনির মূল সুর ৪৪০ কম্পাঙ্কের। এর সাথে যদি এর দ্বিগুণ ৮৮০ কম্পাঙ্কের ধ্বনি যুক্ত হয়, তাহলে উভয় ধ্বনি সমমেল ধ্বনি হবে। মূল সুর ও উপসুরসমূহের সমমেল মানের যৌগিক ধ্বনি রূপ স্নিগ্ধ মনোমুগ্ধকর হয়ে ওঠে। এই অবস্থায় একে বলা হয় সঙ্গীতোপযোগী ধ্বনি।