রবীন্দ্র ভৈরব
রবীন্দ্রসঙ্গীতে ব্যবহৃত ভৈরব ও ভৈরবীর মিশ্র প্রকৃতির রাগ। ভারতীয় শাস্ত্রী সঙ্গীতে এই নামে কোন রাগের চর্চা নেই। এই রাগ সম্পর্কে
ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার তাঁর বীন্দ্রসঙ্গীতে রাগ-নির্ণয় প্রবন্ধে যে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন, তা হলো'রবীন্দ্রনাথ যে গানগুলি ভৈরব রাগে আরম্ভ করেছেন সে-সব গানগুলির অন্তরাতে ভৈরবী রাগে প্রবেশ করেছেন এবং পুনরায় ভৈরব রাগে ফিরে এসেছেন। তাই এরূপ গানগুলির রাগকে রবীন্দ্র ভৈরব বলা হবে।'

[রবীন্দ্রসঙ্গীতে রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান। সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা : ৭৫]

এই প্রবন্ধে 'রবীন্দ্র ভৈরব' রাগে নিবদ্ধ গানের তালিকা, যে গানগুলো পাওয়া যায়, সেগুলো হলো

অলকে কুসুম না দিয়ো [প্রেম-১২৬] [তথ্য]
আমার এ পথ তোমার পথের থেকে [প্রেম-২৮৩] [তথ্য]
আমার জীবনপাত্র উচ্ছলিয়া মাধুরী [প্রেম-৪৩, শ্যামা] [তথ্য]
আমার মন কেমন করে [প্রেম-২১৪] [তথ্য]
আর নহে, আর নহে [প্রেম-২১০] [তথ্য]
ওগো কে যায় বাঁশরি বাজায়ে [প্রেম-৩০০] [তথ্য]
কাঁদার সময় অল্প ওরে [প্রেম-১৬৮] [তথ্য]
কে আমারে যেন এনেছে ডাকিয়া [প্রেম-১৮৮] [তথ্য]
কোন্ দেবতা সে কী পরিহাসে [প্রেম-৩৩২] [তথ্য]
গানের ডালি ভরে দে গো [প্রেম-৭] [তথ্য]
ধরা দিয়েছি গো আমি আকাশের পাখি [প্রেম-৫৪] [তথ্য]
যদি জানতেম আমার কিসের ব্যথা [প্রেম-৪৬] [তথ্য]
 গানটির প্রথম পঙ্‌ক্তি বসন্ত মুখারি এবং পরবর্তী অংশ রবীন্দ্র ভৈরব রাগে।