পোস্তা
সমনাম: পোশ্‌তু, পজতু।
ভারতীয় সঙ্গীতে ব্যবহৃত তাল বিশেষ।

এই তালের সর্বাধিক ব্যবহার ছিল গজলে। কৃষ্ণধন বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর 'গীতসূত্রাসার' গ্রন্থে এই তালের পাদটীকায় উল্লেখ করেছেন- 'পোস্তা পারস্য শব্দ, ইহা গজল গানের তাল, পোস্তা পারস্য হইতে আমদানী হইতে পারে।

তাল ও ছন্দের বিচারে এই তাল সম্পর্কে বহু মত পার্থক্য রয়েছে। যেমন-

১. সৌরীন্দ্রমোহন ঠাকুর একে পৌনে ৪ মাত্রার তাল হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। তবে তিনি এই তাল সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু লেখেন নি। হরিশচন্দ্র দত্ত তাঁর 'সঙ্গীত-তানসেন' গ্রন্থেও এই পৌনে চার মাত্রার উল্লেখ পাওয়া যায়।

  +    ০    +
I তিনতাক  ধিনধিননা তিনতাক ধিনধিননা-০ I তিনতাক 
       

২. প্রসন্নকুমার বণিক তাঁর 'তবলা তরঙ্গিণী' গ্রন্থে পাঁচ মাত্রা তাল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। উল্লেখ্য, প্রসন্নকুমার বণিক তাঁর ঢাকা নিবাসী গুরু গৌরমোহন বসাকের কাছ থেকে এই তালটি শিখেছিলেন।

  +           

+

I দিন  তা ধিন ধা

ধা

I

দিন
 

   

   

. উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস তাঁর 'তবলা মালা' গ্রন্থে পাঁচ মাত্রা তাল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি এই তালে একটি খালির কথা উল্লেখ করেছেন।
 

  +            +
I দিন    নাগ ধিন  ধা ধা I দিন
         

. লালা দুর্গাপ্রসাদ, তাঁর তবলা শিক্ষা' গ্রন্থে একে ৫ মাত্রার তাল হিসেবে উল্লেখ করেছেনতালের এই প্রকরণে একটি তালি ও একটি খালির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
 

+            +
দে    তাগ ধিন  ধা ধা দে
     


 

. ক্ষেত্রমোহন গোস্বামী, তাঁর 'সঙ্গীত সার' গ্রন্থে একে ৫ মাত্রার তাল হিসেবে উল্লেখ করেছেনতালের এই প্রকরণে একটি তালি ও একটি খালির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
 

+            +
দে    তা কে ধিন  ধাগে তিন
     


 

. রামদাস অগ্রবাল, তাঁর তবলা তাল সংগ্রহ' গ্রন্থে এই তালকে 'পজতু‌' তাল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে এই তালটি ৬ মাত্রার। এই তালের প্রথম মাত্রায় খালি
 

 

 

 

 

 

   

+

তই 

 কি

তকু

ধি

ধি

 ধা

তই

     



৬. কৃষ্ণধন বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর 'গীতসূত্রসার' গ্রন্থে  পোস্তার
উল্লিখত প্রকরণগুলোকে অশুদ্ধ বলেছেন। তাঁর মতে এই তালটি মাত্রার এবং চলন অনেকটা যৎ-এর মতো। ছন্দোবিভাজন ৩।২।২। বর্তমানে ৭ মাত্রার পোস্তের ঠেকা যে ভাবে ব্যবহৃত হয়, তা হলো-
 

+                +
দিন 

-

তাক

ধিন

-

ধা

গে

দি

 

 

   

সূত্র