বসু
১.
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে–
আট জন
দেবতার সমষ্টিগত নাম। এই
কারণে এঁরা অষ্টবসু নামে পরিচিত।
এই অষ্টবসু হলেন- ধর,
ধ্রুব,
সোম
অনিল,
অনল,
প্রত্যুষ,
প্রভাস ও
দ্যু।
এঁরা গণদেবতা নামে পরিচত।
ধর্মের ঔরসে এবং দক্ষের কন্যা বসুর গর্ভে এঁরা জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
ষবসুরা মূলত ইন্দ্রের অনুচর হিসাবে পরিচিত। উল্লেখ্য একবার বসুগণ বশিষ্ঠের গাভী নন্দিনীকে হরণ করায় বশিষ্ঠের শাপে গঙ্গার গর্ভে শান্তনুর পুত্ররূপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বসুরা মানুষ হিসাবে জন্ম ও নিষ্কৃতি লাভের জন্য গঙ্গার শরণাপন্ন হয়েছিলেন। বসুদের অনুরোধক্রমে শান্তনুর ঔরসে গঙ্গার গর্ভে বসুরা একের পর একে জন্ম নেবার পর- গঙ্গা তাদের জলে নিক্ষেপ করেন। ফলে এঁরা মানব জন্ম থেকে নিষ্কৃতি পেয়েছিলেন। কিন্তু গঙ্গার সাথে শান্তনুর সঙ্গম যাতে ব্যর্থ না হয়, তার জন্য একটি সন্তান জীবিত পাওয়ার কামনা করেছিলেন বসুদের কাছে। এই অনুরোধ রক্ষার জন্য বসুরা প্রত্যেকে তাঁদের বীর্যের অষ্টমাংশ প্রদান করে-একটি সন্তান জীবত থাকার ব্যবস্থা করেন। এই সন্তানই ছিলেন ভীষ্ম।
ঋগ্বেদে দেখা যায়- বসুগণকে প্রকৃতির নিয়ামকরূপে এবং মন্ত্রপাঠরত অবস্থায়। এরা পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রণ করতেন। এঁরা ছিলেন ইন্দ্র ও অগ্নির অনুগত সহকারী।
২.
চেদি
দেশে বসু নামে কুরুবংশজাত রাজা ছিলেন।
দেখুন : উপরিচর বসু
৩.
জমদগ্নির ঔরসে রেণুকার গর্ভজাত পুত্র সন্তান।
৪.
ইনি দক্ষের কন্যা ও ধর্মের পত্নী।
ইনিই ছিলেন অষ্টবসুর মা।